দেশে এমপিওভুক্ত মাদ্রাসার সংখ্যা ৭ হাজার ৬২৪টি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আরও ৫৫৬টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়াধীন আছে।’ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেশেব বর্তমানে এমপিওবিহীন মাদ্রাসার সংখ্যা ১ হাজার ৯১২টি। এমপিওভুক্ত মাদ্রাসার ছাত্র সংখ্যা ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৮১২ জন, ছাত্রী এক লাখ ১৮ হাজার ৫১ জন। এমপিওবিহীন মাদ্রাসায় ছাত্র সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার ৭২৪ জন ও ছাত্রী এক লাখ ৮৭ হাজার ৮৯ জন।’
সরকারি দলের সদস্য নূর মোহাম্মদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে বয়স্ক সাক্ষরতার হারে পুরুষের চেয়ে নারীরা গড়ে ৫ শতাংশ পিছিয়ে। বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। পুরুষ সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৭ শতাংশ আর নারী সাক্ষরতার হার ৭১ দশমিক ২ শতাংশ।’
সরকারি দলের জাফর আলমের প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন প্রজন্মকে গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষায় শিক্ষিত করে এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ সমমানের উচ্চশিক্ষা, জ্ঞান, বিজ্ঞান, তথ্য প্রয়ুক্তি ও দক্ষতায় গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে গবেষণায় গৃহীত পরিকল্পনার আওতায় অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্টের অর্থায়নে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে নন–লিনিয়ার অপটিক্স গবেষণায় ক্যান্সার শনাক্তকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ প্রতিরোধে কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করা হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাটকাঠি থেকে টেকসই পার্টিক্যাল বোর্ড উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবিত বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তির স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রাসঙ্গিকতা থাকায় পর্যায়ক্রমে এগুলোর জন্য প্যাটেন্ট আবেদন দাখিলের প্রক্রিয়া চলছে।’
বিএনপির জিএম সিরাজের প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘২০১৯–২০২০ অর্থবছরে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা কার্যক্রমে মাথাপিছু মাসিক ৭৫০ টাকা হিসাবে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার জনকে এক হাজার ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। এই অর্থবছরে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রমে ৪টি স্তরে উপকারভোগীর সংখ্যা এক লাখ।’ তাদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ৯৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বলেও তিনি জানান।