X
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

করোনার চেয়ে সর্দি-কাশিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি!

জাকিয়া আহমেদ
১০ এপ্রিল ২০২০, ২০:১১আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২০, ০৮:০৯

করোনার চেয়ে সর্দি-কাশিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি!

গত ৬ এপ্রিল চট্টগ্রামের রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। করোনা সন্দেহে মৃতদেহের পাশে আসেননি কেউ। চিকিৎসকদের দাবি, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। একই দিনে নারায়ণগঞ্জে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান একজন গিটারিস্ট। রাতে মারা যাওয়ার পর তার মরদেহ বাড়ির বাইরে রাখা হয়। সারা রাত মরদেহ বাইরেই পড়ে ছিল। কী কারণে ওই গিটারিস্ট মারা গেছেন, তা জানতে পারেননি স্বজনরা। কারণ, মৃত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষারও সুযোগ পাননি তারা।

দেশে চলছে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৩০ জন শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২১ জন। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায়, করোনার লক্ষণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়, বাড়িতে বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থেকে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা করোনায় মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে বেশি। যদিও এ সময়ে লক্ষণ ও উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া মানুষের সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেনি সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতর। তাদের কারও কারও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইডিসিআর)। বেশিরভাগের রেজাল্ট নেগেটিভ এলেও এরমধ্যে পজিটিভও রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা করোনার লক্ষণ ও উপসর্গ নিয়ে ঠিক কত মানুষ মারা গেছে তার হিসাব তাদের কাছে নেই। অধিদফতর আরও জানায়, কেবল শীতের সময়ে তারা শ্বাসকষ্টের রোগীদের পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে থাকে। শীত মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় মার্চ মাস থেকে সেটাও তারা আর করছেন না।

অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের হিসাব থেকে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৯৩০ জন, যা ২০১৯ সালে ছিল ৮২০ জন, ২০১৮ সালে এক হাজার ১০ জন এবং ২০১৭ সালে ছিল ১৪১ জন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এআরআইতে আক্রান্ত হন ২৬ হাজার ৪৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৪ হাজার ৯৫০ জন এবং মার্চে ১১ হাজার ৯৩০ জন। গত বছরের জানুয়ারিতে ছিল সাত হাজার ৫২০ জন, ফেব্রুয়ারিতে চার হাজার ৪৬০ ও মার্চে ৮২০ জন। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ছিল ছয় হাজার ৭১২ জন, ফেব্রুয়ারিতে চার হাজার ১১৫ জন এবং মার্চে ছিল ৬৪৯ জন।

জ্বর-সর্দি-কাশি-শ্বাসকষ্ট শ্বাসতন্ত্র সংক্রমণের প্রধান লক্ষণ, জানিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, ‘এই শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ যখন ফুসফুসে মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায়, তখন তাকে নিউমোনিয়া বলে। কিন্তু স্বাভাবিক কারণ ছাড়া যখন অন্য কোনও অ্যাবনর্মাল কারণে নিউমোনিয়া হয়, অথবা পরীক্ষা করে যখন নিউমোনিয়ার কারণ জানা না যায়, তখন তাকে এটিপিক্যাল নিউমোনিয়া বলে।’

চলতি বছরে এই এটিপিক্যাল নিউমোনিয়া কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল এবং এতে করে মারাও গেছেন অনেকে। কিন্তু তাদের করোনা টেস্ট হয়নি, বলেন তিনি।

পিসিআর (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) টেস্ট (করোনা নিশ্চিতকরণ টেস্ট) যদি নাও করা হয়, তাহলেও এক্সরে ও সিটিস্ক্যান— এই দুই পরীক্ষার ভিত্তিতে চিকিৎসক যদি মনে করেন, কোভিড-১৯ টেস্ট করা উচিত, তাহলে সেটা করা দরকার। আর সেটা যদি করা হতো, তাহলে বর্তমানে করোনায় শনাক্ত হওয়া রোগীর চেয়ে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হতো, বলেন ডা. জাহিদুর রহমান।

পত্রিকার পাতা খুললেই সামান্য জ্বর-সর্দিতে মানুষ মারা যাচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে, কিন্তু জ্বর-সর্দিতে হঠাৎ করে কেন এত মানুষ মারা যাচ্ছে, সেটা যাচাই করা দরকার ছিল বলে মন্তব্য করেছেন মেডিসিন ও বক্ষ্যব্যধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আজিজুর রহামন। তিনি বলেন, এটিপিক্যাল নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত রোগীদের কোভিড-১৯ এর পরীক্ষার আওতায় আনিনি, কিন্তু আনা উচিত ছিল। পাশের দেশ ভারতেও এটিপিক্যাল নিউমোনিয়ার কোনও ছাড় নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটিপিক্যাল নিউমোনিয়া হলে তাকে কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা করতেই হবে, এখান থেকে ছাড় পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই, যেহেতু এটা এটিপিক্যাল।

অধ্যাপক ডা. আজিজুর রহমান বলেন, এই রোগীদের যদি কোভিড-১৯ এর পরীক্ষার আওতায় আনা যেত, তাহলে মোট শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে যেতো। এমন অনেক রোগীই আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে, কিন্তু এদের স্যাম্পল নেওয়া উচিত ছিল।

দেশে এখন করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-১৯ রোগের প্রধান এবং মারাত্মক জটিলতা হলো এটিপিক্যাল নিউমোনিয়া। তারা আরও বলছেন, চলতি বছরের শুরুতে নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। তাদের মধ্যে কতজনের এটিপিক্যাল নিউমোনিয়া ছিল, তা পুরোটা টেস্ট করা হয়নি।

বিশেষজ্ঞরা জানান, মহামারির এই সময়ে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে। ১০ দিনের জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট—এ তিন লক্ষণ নিয়ে যদি কোনও রোগী হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বা লকডাউন থাকা অবস্থায়, হাসপাতালে ভর্তি না হতে পেরে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে বা বাড়িতে মারা গিয়ে থাকেন, তবে এমন ঘটনা করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই শুরু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের প্রতিটি মৃত্যুর কারণ পরীক্ষা করার দরকার ছিল। নমুনা সংগ্রহ করলে বোঝা যেতো কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

কেস স্টাডি

করোনার লক্ষণ ও উপসর্গ নিয়ে মানুষ মারা যাওয়ার সংবাদে দেখা যায়, ৯ এপ্রিল নওগাঁর মান্দা উপজেলায় জ্বর-সর্দি ও কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৫৭ বছর বয়সী একজন মারা গেছেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম। একই দিনে টাঙ্গাইলের সখীপুরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে মারা যান একজন স্কুলশিক্ষক, তারও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

গত ২৯ মার্চ বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দুই জন। একইদিন যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যায় এক কিশোরী। তার পরদিনই কুষ্টিয়ায় জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে মারা যান একজন ইজিবাইক চালক। ঠিক একইভাবে বরিশাল, পিরোজপুর, জয়পুরহাট, বগুড়া, সিলেট, ঝালকাঠি, চট্টগ্রাম, শরীয়তপুর, বগুড়ায় করোনার লক্ষণ ও উপসর্গ নিয়ে মারা যায় মানুষ।

এছাড়া, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে দুই জন, ফেনী, সাতক্ষীরা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, সিরাজগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, পঞ্চগড়, রংপুর, মানিকগঞ্জ, নীলফামারী, কুমিল্লা, শেরপুর, টাঙ্গাইলে করোনার লক্ষণ ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কোথাও এক বা একাধিক মানুষ।

গত ৮ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল পৌরসভা এলাকার ভেতরে জ্বর, সর্দি, কাশি আর শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে মারা যান শাহ আলম।

শাহ আলমের স্ত্রী আতিয়া আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তার স্বামীর হাঁপানির সমস্যা ছিল। গত সপ্তাহ থেকেই তিনি জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার আগেই শাহ আলম মারা যান।’

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় গত ৮ এপ্রিল মারা যান আলী আকবর। তার ভাই সাইদুল ইসলাম জানান, আকবরের জ্বর, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট ছিল। তবে আগে থেকেই তার যক্ষ্মা ছিল। আকবর ঢাকা থেকে বরিশালে যান গত ২৬ মার্চ জানিয়ে সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা ভেবে ডাক্তাররা তার নমুনা নিয়েছে। সে অনুযায়ী দাফন করেছে। কিন্তু আমাদের মনে হয় যক্ষ্মার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় সে মারা গেছে।’ গত ৫ এপ্রিল কুমিল্লার দাউদকান্দিতে একটি বাড়ি লকডাউনের পর মারা যান ৫৫ বছরের এক বৃদ্ধ।

এদিকে, গত ৬ এপ্রিলে কিশোরগঞ্জে মারা যাওয়া ব্যবসায়ী করোনা আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান।

তবে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দেশে এ পর্যন্ত সর্দি,কাশি বা জ্বর নিয়ে কতজন মারা গেছে তার পরিসংখ্যান নেই সরকারের কাছে।

তথ্য নেই স্বাস্থ্য অধিদফতরে

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক ডা. আয়শা আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বা জ্বর ও সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত কতজন মারা গেছেন, সেই হিসাব আমাদের কাছে নেই। আর এ হিসাব কেউ রাখে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ আছে।’ তিনি বলেন, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসাব কন্ট্রোল রুমের কাছে থাকলেও সেটা কেবল শীতের সময়ের। শীতের পর আর সেটা রাখা হয় না।’

করোনার লক্ষণ-উপসর্গ নিয়ে কত মানুষ মারা গেছে জানতে চাইলে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ হিসাবটা আমরা রাখি না।’

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ সন্দেহ করা হচ্ছে বলে আমাদের কাছে যে তথ্য আসে, সেগুলো আমরা পরীক্ষা করি। কিন্তু অনেক মৃত্যু রয়েছে—যেগুলোতে করোনার লক্ষণ ছিল। অনেক মৃত্যু থাকতে পারে। সেগুলোর রিপোর্ট হয়নি বা স্যাম্পল টেস্টের জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’ ডা. ফ্লোরা বলেন, ‘আমাদের পক্ষে যেগুলো সম্ভব ছিল যোগাযোগ করার, যেগুলো টেস্ট করার, সেগুলোই আমরা টেস্ট করেছি।’

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মানুষ এখন নানা হয়রানির কারণে লক্ষণের কথা বলছেন না। একইসঙ্গে টেস্ট করাতে চাইলেও নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে।’

শুধু মার্চ মাসে কতজন এটিপিক্যাল নিউমোনিয়ার রোগী ছিল এবং কতজন মৃত মানুষের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে কোভিড-১৯-এর টেস্ট হয়েছে—এসব কিছু প্রকাশ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমীন বলেন, ‘নিউমোনিয়ার কারণ জানা না গেলে নিয়ম হচ্ছে সেটি সার্ভিল্যান্স করা। আইইডিসিআরের দায়িত্ব ছিল এটা করা। মার্চের প্রথমদিকে একটা ডকুমেন্ট করে তাদের পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক, সে সময় এটা করা হয়নি। আমাদের কেসগুলো শনাক্ত হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘কারণ, তারা তখন কোভিড-১৯-এর ডেফিনেশন ঠিক করছিল। বিদেশ থেকে আসতে হবে, কন্টাক্টের ইতিহাস থাকতে হবে ইত্যাদি।’

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমীন বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম কেন নিউমোনিয়া বেড়ে গেলো, তার সার্ভিল্যান্স হওয়া দরকার, কিন্তু সেটা হয়নি।’

আইসোলেশন, কোয়ারেন্টিনে থাকা অনেকেই মারা যাচ্ছে, এদের ব্যাপারে জানতে চাইলে রোবেদ আমীন বলেন, ‘এর জন্য দরকার ছিল শুরু থেকে টেস্টিং সুবিধা বাড়িয়ে দেওয়া।’ রোগটা খুব ডিভাস্টেটিং মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যাদের অন্য রোগ আছে, তাদের দ্রুত সময়ে মৃত্যু হতে পারে। মহামারির সময়ে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে। ১০ দিনের জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট—এ তিন লক্ষণ নিয়ে যদি কোনও রোগী মারা যায়, ধরে নিতে হবে এটা কোভিড-১৯।’

 

/টিটি/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘মেগাস্টার’ বিতর্ক: আত্মপক্ষ সমর্থনে জাহিদ হাসান
‘মেগাস্টার’ বিতর্ক: আত্মপক্ষ সমর্থনে জাহিদ হাসান
চানখারপুলে হত্যা: ৮ আসামির বিষয়ে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১৪ জুলাই
চানখারপুলে হত্যা: ৮ আসামির বিষয়ে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১৪ জুলাই
গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত লিভারপুল তারকা জোতা
গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত লিভারপুল তারকা জোতা
৫৩ বছরে এমন আলোচনার সুযোগ আসেনি: আলী রীয়াজ
৫৩ বছরে এমন আলোচনার সুযোগ আসেনি: আলী রীয়াজ
সর্বাধিক পঠিত
নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
সংযুক্ত কর্মচারী প‌রিষ‌দের জরু‌রি সভানবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
অনুদান কমিটি থেকে অভিনেত্রীর অব্যাহতি!
অনুদান কমিটি থেকে অভিনেত্রীর অব্যাহতি!
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
কার দোষে শ্রমবাজার বন্ধ হয় জানালেন আসিফ নজরুল
কার দোষে শ্রমবাজার বন্ধ হয় জানালেন আসিফ নজরুল