X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘মিয়ানমারের মিথ্যাচার থামাতে বহুপাক্ষিক আইনি ব্যবস্থা কার্যকরী’

শেখ শাহরিয়ার জামান
০২ অক্টোবর ২০২০, ২১:৫০আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২০, ১৩:০৯

‘মিয়ানমারের মিথ্যাচার থামাতে বহুপাক্ষিক আইনি ব্যবস্থা কার্যকরী’ গণহত্যা চালানোর পরেও রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে মিয়ানমারের মিথ্যাচার অব্যাহত রয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের ইউনিয়ন মন্ত্রী চ টিন্ট সোয়ে এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মিথ্যাচার করেছেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য তিনি বাংলাদেশকে দোষারোপ করেছেন। ভুল তথ্য দিয়ে বিশ্বের মনোযোগ অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এই মিথ্যাচার থামানোর জন্য বহুপাক্ষিক আইনি ব্যবস্থা কার্যকরি এবং সেই পথেই বাংলাদেশকে আরও জোর দিতে হবে বলে মনে করেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মাদ শহীদুল হক।

শুক্রবার (২ অক্টোবর) শহীদুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, যদিও সারা বিশ্ব মিয়ানমারের মিথ্যাচারিতা সম্পর্কে জানে, তবুও ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা থেকে যায়। সাবেক এই পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এখানে মিয়ানমার মিথ্যাচার করছে এবং বাংলাদেশ সেটির প্রতিবাদ করছে। আবার বাংলাদেশ এ বিষয়ে গঠনমূলক কিছু বললে মিয়ানমার সেটিকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার তার বক্তব্যে বলেছে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করছে এবং এটি বজায় রাখতে চায়। কিন্তু তারা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অনেকবার সীমানা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশকে সামরিকভাবে প্ররোচিত করার চেষ্টা চালিয়েছে। প্রত্যাবাসন সম্পর্কিত কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে তারা বলছে বাংলাদেশের মধ্যে থেকে কেউ কেউ রোহিঙ্গাদের যেতে বাধা দিচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

মিথ্যাচার বন্ধে সাবেক ওই কূটনীতিক বলেন, ‘এক্ষেত্রে ভালো একটি উপায় হচ্ছে কোর্টের কাছ থেকে এই সম্পর্কিত একটি রায়। যা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।’

আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত (আইসিজে) ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) রাখাইনে গণহত্যা সংক্রান্ত পৃথক দুটি বিচার প্রক্রিয়া চলমান আছে। ওই দুটি কোর্ট বিষয়টি সম্পর্কে রায়ের পরে মিয়ানমারের মিথ্যাচার করলেও কোনও দেশ সেটিকে ভালোভাবে নেবে না বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, ‘৮০ বছর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যেসব দেশ গণহত্যা এবং ধ্বংষযজ্ঞ চালিয়েছিল সেটি এখনও তাদের তাড়িয়ে বেড়ায়।’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যারা অপরাধ করেছে তাদেরকে বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা হয়েছে এবং পরবর্তীতে অনেক যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রথম থেকে দায়বদ্ধতার ওপর জোর দিয়েছে এবং এটি মিয়ানমারের মিথ্যাচার বন্ধের জন্যও জরুরি।’

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তারা রাখাইনে হত্যাকাণ্ড, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ শুরু করলে জীবন বাঁচাতে নতুন করে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এই নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া।

/এসএসজেড/এনএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এবার ‘হুব্বা’ নামে হলো গানচিত্র
এবার ‘হুব্বা’ নামে হলো গানচিত্র
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
আঙুরের গোড়া কালো হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন টিপস
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
টেকনাফে ১০ জন কৃষক অপহরণের ঘটনায় ২ জন আটক
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
এরদোয়ানের যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা জানা গেলো
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!
শাকিব খান: নির্মাতা-প্রযোজকদের ফাঁকা বুলি, ভক্তরাই রাখলো মান!