X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

বায়ুদূষণ কমাতে ৮০০ কোটি টাকা: বেতন-ভাতা, যন্ত্রপাতি আর বিদেশ ভ্রমণেই ফুরালো!

শাহেদ শফিক
০৭ ডিসেম্বর ২০২০, ২১:৩৯আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:৩২

বায়ুদূষণ কমাতে ৮০০ কোটি টাকা: বেতন-ভাতা, যন্ত্রপাতি আর বিদেশ ভ্রমণেই ফুরালো! জলবায়ুজনিত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। ঝুঁকি কমাতে নানা পদক্ষেপের কথা বলা হলেও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না কোনোটির। জলবায়ু তহবিলের প্রকল্পগুলোতেও চলছে অর্থের তছরুপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অদক্ষতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নানাদিক ও এ খাতের অনিয়ম নিয়ে শাহেদ শফিকের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে দ্বিতীয় পর্ব
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ঢকার বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ (কেইস) প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে ৮০২ কোটি টাকা। কিন্তু এই টাকার ৫০ ভাগ ব্যয় করা হয়েছে নন-মেটেরিয়ালস খাতে। অর্থের ২৫ ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন ভাতা ও অভিজ্ঞতার নামে বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় হয়েছে।
২০০৯ সালে গ্রহণ করা প্রকল্পের মেয়াদ প্রথমে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ধরা হলেও পরে বাড়িয়ে করা হয় জুন ২০১৯ পর্যন্ত। এরইমধ্যে পুরো টাকাই খরচ হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পরিবেশ অধিদফতর ও ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

আরও পড়ুন: জলবায়ুর টাকায় ফুটওভার ব্রিজ, ট্রাফিক বাতি!


প্রকল্পটির আওতায় রাজধানীর বাতাসের মান খতিয়ে দেখা হয়। এ জন্য ঢাকায় চারটি, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে একটি করে মোট ১১টি নির্মল বায়ু পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করা হয়। এসব কেন্দ্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে বাতাসকে ভালো, মধ্যম, অস্বাস্থ্যকর, খুব অস্বাস্থ্যকর, অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর- এই মানে চিহ্নিত করা হয়। কেন্দ্রগুলোতে পর্যবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বলছেন, শীতকালে ১১টি কেন্দ্রে যে মানের বাতাস পাওয়া যাচ্ছে তার অবস্থা খুবই খারাপ।
কেইস প্রকল্পের মোট ব্যয় নিয়ে মন্ত্রণালয়টির এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রকল্পের মোট বরাদ্দের ২৫ ভাগ মেশিনারিজ খাতে ব্যয় করা হয়েছে। আর বাকি ৭৫ ভাগ ব্যয় হয়েছে অন্যান্য খাতে। অন্যান্য খাতের ৭৫ ভাগের মধ্যে ২৬ ভাগ ব্যয় হয়েছে পরিবেশ অধিদফতরের নতুন ভবন নির্মাণে।

বায়ুদূষণ কমাতে ৮০০ কোটি টাকা: বেতন-ভাতা, যন্ত্রপাতি আর বিদেশ ভ্রমণেই ফুরালো!
গত ১৮ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির ৮ম সভায় কেইস প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. এসএম মঞ্জুরুল হান্নান খান জানান, প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ছিল ৮০২ কোটি টাকা। কোন খাতে কত টাকা ব্যয় হয়েছে সেই হিসাব দিতে গিয়ে তিনি জানান, মেশিনারিজ খাতে মোট ব্যয়ের ২৫ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে ৭৫ শতাংশ। এই ব্যয়ে পরিবেশ উন্নয়নে সরাসরি সুফল পাওয়া যাবে না বলে স্বীকার করেছে খোদ প্রকল্প গ্রহণকারী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী। বৈঠকে কমিটির সভাপতি জানতে চান, এই ব্যয় দেশের প্রেক্ষাপটে স্ট্যান্ডার্ড কিনা? এর কোনও উত্তর মেলেনি।
প্রকল্পের মোট ব্যয়ের ১৮২ কোটি টাকাই দেখানো হয়েছে কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ। আর মিডিয়া ক্যাম্পেইনে গেছে ৩৪ কোটি টাকা। বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩৩ কোটি টাকা, মেলা বাবদ খরচ ১০ লাখ টাকা, কালচারাল প্রোগ্রামে গেছে ৯ লাখ, কানসালটেন্সিতে গেছে ৩৩ কোটি আর কর্মকর্তাদের কাপড় ধোয়ায় গেছে ১ লাখ।
কেইস প্রকল্পের মোট বরাদ্দ থেকে গত ১০ বছরে ৩১টি নতুন গাড়ি কেনা হয়েছে। অথচ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে না হতেই এরইমধ্যে ৯টি গাড়ি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মোট গাড়ির মধ্যে ১৪টি ব্যবহার করছে দুই সিটি করপোরেশন।
সংসদীয় কমিটিতে দেওয়া পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এ প্রকল্পের ৮০২ কোটি টাকার মধ্যে ৪৬০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে ঢাকা সিটি করপোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ) অংশে। এ টাকায় ৮৩ দশমিক ৯১ কিলোমিটার রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাতের উন্নয়ন; ২৩টি ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ; ১৮ কিলোমিটার মিডিয়ান-ফুটপাতে গার্ড রেইল স্থাপন; ২০টি যাত্রী ছাউনি ও রোড মার্কিং, জেব্রা ক্রসিং, রোড সাইনের কাজ; ৯৯টি রিমোট কন্ট্রোল ট্রাফিক সিগন্যাল; ডিএসসিসির হাজারীবাগে দোতলা ওয়্যারহাউস-কাম অফিস ভবন নির্মাণ; ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগে ২৫ ধরনের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় যেসব কাজ করা হয়েছে তা কোনও ভাবেই বায়ুর মান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিরা রাখতে পারে না বলে মনে করছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।
বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ ও স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, নির্মল বায়ু ও টেকশই পরিবেশ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে বায়ুর মান উন্নয়নের জন্য। কিন্তু আমরা দেখলাম এটা দিকে ফুটওভার ব্রিজ ও ট্রাফিক সিগন্যাল করা হয়েছে। এটা তো পরিবেশের কাজ না। এটা করবে সিটি করপোরেশন।
বায়ুদূষণ কমানো কেইস প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলেও ঢাকায় বায়ুদূষণ আরও বেড়েছে বলে মনে করছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কেইস প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বায়ুর মান উন্নত করা বা দূষণ কমানো। কিন্তু আমরা কতটুকু কমালাম? এই সময়ে দূষণ তো বেড়ে গেছে, কমেনি।’
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি পুনর্মূল্যায়নের জন্য আমরা এরইমধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) কাছে পাঠিয়েছি। এ থেকে আমরা একটা শিক্ষা নিতে চাই, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আসলে আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি প্রকল্পটি ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ কমানোর জন্য গ্রহণ করা হলেও এখন আরও বেড়েছে। যে কারণে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি এটা সত্য।
কমিটির সদস্য ও বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবুল সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বলেন, যে উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে তা ডাইভার্ট হয়ে অন্যদিকে চলে গেছে। বায়ুদূষণ রোধে করণীয় তেমন কিছুই হয়নি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন সেলের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাকির হোসেন খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বায়ুদূষণের চরম শিকার ঢাকা। কেইস প্রকল্প সেই দূষণ উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রেখেছে তা খতিয়ে দেখলে পরবর্তীতে বায়ুদূষণ কার্যক্রমে গৃহীত কার্যক্রমের জন্য শিক্ষা হতে পারে।
পরিবেশ গবেষক আতিক আহসানের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৪ সালে বছরে ১৬৫ দিন রাজধানীর বায়ু অস্বাস্থ্যকর থেকে মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর ছিল। ২০১৫ সালে তা বেড়ে ১৭৩ দিন, ২০১৬ সালে ১২৯ দিন, ২০১৭ সালে ১৮৫ দিন ও ২০১৮ সালে ১৯৭ দিন ছিল। পরিবেশ অধিদফতরের প্রতিবেদন বলছে, ঢাকা ছাড়াও গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামে বায়ুদূষণ ক্রমেই বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাই বিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার ভিজ্যুয়াল’-এর বায়ুমান সূচকে (একিউআই) গত এক বছরের হিসাবে দেখানো হয়, ঢাকায় ২০১৯ সালে গড়ে বায়ুদূষণের সূচক ছিল ৮৩ দশমিক ৩। এরমধ্যে জানুয়ারি মাসে ছিল গড়ে ১৮১ দশমিক ৮, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪৫ দশমিক ৭, মার্চে ১০৭ দশমিক ৪, এপ্রিলে ৭০ দশমিক ২, মে মাসে ৫২ দশমিক ২, জুনে ৩৫ দশমিক ৯, জুলাইতে ৩৮ দশমিক ২, আগস্টে ৩১ দশমিক ৩, সেপ্টেম্বরে ৩৭ দশমিক ৭, অক্টোবরে ৬৪ দশমিক ৬, নভেম্বরে ৯৪ দশমিক ২ এবং ডিসেম্বরে সূচক ছিল ১৪৬ দশমিক ৩। এর আগে ২০১৮ সালের গড় ছিল ৯৭ দশমিক ১ এবং ২০১৭ সালের গড় সূচক ছিল ৭৯ দশমিক ৭।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ পরিবহন। পরিবহন খাতে ২০১৫ সালের তুলনায় ১৫ শতাংশ গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও কীভাবে এই হার কমানো হবে সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা করা হয়নি।
নাসার তথ্যমতে, গত ১০ বছরে ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা ৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদফতরের মতে ঢাকার বায়ুদূষণ বৃদ্ধিতে ইটভাটার পাশাপাশি ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কালো ধোঁয়াও দায়ী। তবে, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর চাপে তা কমাতে এখনও সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনও উদ্যোগ লক্ষ করা যায়নি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রশ্নগুলো লিখিত আকারে পাঠাতে বলেন। গত ১০ নভেম্বর তার কাছে প্রশ্নগুলো পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত তিনি উত্তর পাঠাননি। তার কাছে প্রশ্ন ছিল, বায়ুদূষণ কমাতে আপনার মন্ত্রণালয় থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? ‘নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ’ (কেইস) প্রকল্পটি বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কোনও ভূমিকা রেখেছে কিনা? এই প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ের যথার্থতা নিয়ে সংসদীয় কমিটি আপত্তি জানিয়েছে। কমিটির আপত্তির বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
আগামী পর্বে থাকছে: দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে কেইস প্রকল্পে চলে বিদেশ ভ্রমণের উৎসব। ব্যয় হয় কোটি কোটি টাকা। বায়ুদূষণ কমানোর তহবিলের টাকায় উড়োজাহাজে চড়ে কার্বন ফুট-প্রিন্ট বাড়িয়ে কারা গেলেন বিদেশে? শিখে এসে কী করলেন নগরীর জন্য? এসব নিয়েই থাকছে তৃতীয় পর্ব।

/টিএন/এফএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি, কমলো তাপমাত্রা
রোমাঞ্চকর ম্যাচে ১ রানের নাটকীয় জয় হায়দরাবাদের 
রোমাঞ্চকর ম্যাচে ১ রানের নাটকীয় জয় হায়দরাবাদের 
মামুনুল হকের জন্য কাশিমপুর কারাগারের সামনে ভক্তদের ভিড়
মামুনুল হকের জন্য কাশিমপুর কারাগারের সামনে ভক্তদের ভিড়
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা