X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১১৬৭ দিনে ৪১ স্প্যান

এমরান হোসাইন শেখ
১০ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:৫১আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২০, ১৩:৪৬

পদ্মা সেতু (ছবি: ফোকাস বাংলা) বিশ্বব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর। পরের বছর ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সেতু নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ২০১৭ সালের শুরু হয় স্প্যান বসানোর কাজ। এরপর তিন বছর দুই মাস ১০ দিনে বা মোট ১১৬৭ দিন পর সেতুর সব স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো পুরো পদ্মা সেতু।

২০১৪ সালের ১৭ জুন চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির সঙ্গে নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেতু নির্মাণ শুরুর প্রায় তিন বছর পর ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বসে প্রথম স্প্যান। এরপর একে একে বসতে থাকে সেতুর মূল কাঠামো এই স্প্যানগুলো। দৃশ্যমান হতে থাকে এর দৈর্ঘ্য। পদ্মা সেতু

প্রথম দিকে স্প্যান স্থাপনের গতি কম থাকলেও আস্তে আস্তে এটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বসে ৪১তম স্প্যান। ৪২টি পিলারের ওপর এই ৪১টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়।

প্রথম স্প্যান বসার পর শেষ স্প্যান বসতে সময় লাগে এক হাজার ১৬৭ দিন। গাণিতিক হিসেবে গড়ে ২৮ দিনে একটি করে স্প্যান বসেছে। অবশ্য বাস্তবে কোনও কোনও স্প্যান বসেছে এক সপ্তাহেরও কম ব্যবধানে। আবার কোনটি বসতে সময় লেগেছে ছয় মাসেরও বেশি সময়। প্রমত্তা পদ্মায় স্রোতের কারণে প্রতি বছরই জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে অন্তত তিনমাস স্প্যান বসানো বন্ধ থেকেছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালে একটি, ২০১৮ সালে চারটি, ২০১৯ সালে ১৪টি এবং ২০২০ সালে বসে ২২টি স্প্যান। তিয়ান-ই ক্রেন

প্রথম স্প্যান: ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হয় ‘৭ এ’ স্প্যানটি। এটি বসানো হয় সেতুর জাজিরা প্রান্তে। ওই সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় স্প্যান: প্রথম স্প্যান বসানোর ১২০ দিন পর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি জাজিরা প্রান্তে ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিয়ারের ওপর বসে ‘৭ বি’ স্প্যানটি। এতে ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু।

তৃতীয় স্প্যান: ২০১৮ সালের ১১ মার্চ ‘৭ সি’ নম্বর স্প্যানটি বসে ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিয়ারের ওপর। এতে সেতুর দৃশ্যমান হয় ৪৫০ মিটার। পদ্মা সেতু

চতুর্থ স্প্যান:  ২০১৮ সালের ১৩ মে ‘৭ ই’ স্প্যানটি বসে আগেরটির পাশের ৪০ ও ৪১ নম্বর পিয়ারের ওপর। দৃশ্যমান হয় ৬০০ মিটার।

পঞ্চম স্প্যান: ‘৭ এফ’ স্প্যানটি বসে ২০১৮ সালের ২৯ জুন। এটাতে ৪১ ও ৪২ নম্বর পিয়ারের ওপর স্থাপন করা হয়। দৃশ্যমান হয় পৌনে এক কিমি (৭৫০ মিটার)।

ষষ্ঠ স্প্যান:  ছয় মাস ২৫ দিনের মাথায় বসে ষষ্ঠ স্প্যান। ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিয়ারের ওপর ‘৬ এফ‘ স্প্যানটি বসানো হয়েছে। ফলে সেতুর মূল কাঠামোর ৯০০ মিটার দৃশ্যমান হয়। জাজিরা প্রান্তের তীরের দিকের ষষ্ঠ শেষ স্প্যান বসে। পদ্মা সেতু

সপ্তম স্প্যান: পদ্মা সেতুর সপ্তম স্প্যানটি বসে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিয়ারের ওপর স্প্যান '৬-ই' বসানোর মাধ্যমে এই প্রান্তে দৃশ্যমান হয় সেতুর ১০৫০ মিটার।

অষ্টম স্প্যান: ২০১৯ সালের ২২ মার্চ পদ্মা সেতুর ৩৫ ও ৩৪ নম্বর পিয়ারের ওপর অষ্টম স্প্যানটি বসানো হয়। ‘৬ ডি’ স্প্যান বসানোয় ১২০০ মিটারের সেতু দৃশ্যমান হয়।

নবম স্প্যান: পদ্মা সেতুর নবম স্প্যানটি বসে মাওয়া প্রান্তে। এটি ছিল মাওয়া প্রন্তের প্রথম স্প্যান। ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল ‘৩ এ’ স্প্যান ১৩ ও ১৪ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানোয় সেতুর ১৩৫০ মিটার দৈর্ঘ্যে রূপ নেয়। পদ্মা সেতু

দশম স্প্যান: ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিয়ারের ওপর ১০তম স্প্যান বসে। ‘৩বি’ স্প্যানটি বসানোর ফলে সেতুর দেড় কিলোমিটার (১৫০০ মিটার) দৃশ্যমান হয়।

১১তম স্প্যান:  এটি মাওয়া প্রান্তের দ্বিতীয় স্প্যান। ২০১৯ সালের ২৫ মে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিয়ারের ওপর স্প্যান ‘৩বি’ বসানো হয়। এতে সেতুর ১৬৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

১২তম স্প্যান: ২০১৯ সালের ২৯ জুন পদ্মায় বসে দ্বাদশ স্প্যান। ‘৩সি’ স্প্যানটি বসানো হয় ১৫ ও ১৬ নম্বর পিয়ারের ওপর। এতে সেতুর ১৮০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

১৩তম স্প্যান: ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ১৩তম স্প্যান বসানো হয়। জাজিরা প্রান্তে ২৪ ও ২৫ নম্বর পিয়ারের ওপর ‘৪এফ’ স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ১৯৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়। পদ্মা সেতু

১৪তম স্প্যান: ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর ১৪তম স্প্যান বসানো হয়। জাজিরা প্রান্তে ২৩ ও ২৪ নম্বর পিয়ারের ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ২১০০ মিটার (২ দশমিক ১ কিলোমিটার) অংশ দৃশ্যমান হয়।

১৫তম স্প্যান: ১৯ নভেম্বর ২০১৯ মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান বসানো হয়। সেতুর ১৬ ও ১৭ নম্বর পিয়ারের ওপর স্প্যান ‘৩ডি’ বসানো হয়। এ স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর ২২৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

১৬তম স্প্যান: ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর পদ্মায় বসানো হয় ১৬তম স্প্যান। ৪ডি স্প্যানটি বসে জাজিরা প্রান্তের ২২ ও ২৩ নম্বর পিয়ারের ওপর। এতে ২৪০০ মিটার দৃশ্যমান হয়। পদ্মা সেতু

১৭তম স্প্যান: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ বসানো হয় পদ্মা সেতুর ১৭তম স্প্যান। মাওয়া প্রান্তে ১৭ ও ১৮ নম্বর পিলারের ওপর ৩-ই স্প্যানটি বসানো হয়। এই স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর ২ হাজার ৫৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

১৮তম স্প্যান: ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর ১৮তম স্প্যান বসানো হয়। আর এতে করে দৃশ্যমান হয় সেতুর দুই হাজার ৭০০ মিটার। ‘৪সি‘ স্প্যানটি বসে সেতুর ২১ ও ২২ নম্বর পিয়ারের ওপর।

১৯তম স্প্যান: ২০১৯ সালের শেষ দিনে ৩১ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর ১৯তম স্প্যান বসানো হয়। সেতুর ১৮ ও ১৯ নম্বর পিয়ারের ওপর ‘৩এফ’ নামে এ স্প্যানটি বসানো হয়। এতে সেতুর ২৮৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়। পদ্মা সেতু

২০তম স্প্যান: ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি ২০তম স্প্যান বসানো হয়। ১এফ স্প্যানটি বসানো হয় সেতুর ৬ ও ৭ নম্বর পিয়ারেরর ওপর। এর মধ্যদিয়ে পদ্মা সেতুর তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়। ১এফ স্প্যানটি ছিল সেতুর সর্বপ্রথম তৈরি করা স্প্যান। কিন্তু নির্ধারিত পিলার দুটি প্রস্তুত না থাকায় এটাকে আগে বসানো যায়নি। যার কারণে এক বছর তিন মাস আগে ২০১৮ সালের ১২ অক্টোবর এই স্প্যানটি অস্থায়ীভাবে সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হয়েছিল।

২১তম স্প্যান: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সেতুর ২১তম স্প্যান স্থাপন করা হয়। এতে ৩১৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। জাজিরা প্রান্তে ৩২ ও ৩৩ নম্বর পিয়ারের ওপর ৬বি স্প্যানটি বসানো হয়।

২২তম স্প্যান: ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে বসানো হয় পদ্মা সেতুর ২২তম স্প্যান। সেতুর ৫ ও ৬ নম্বর পিয়ারে '১ই' স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর তিন হাজার ৩০০ মিটার।

২৩তম স্প্যান: ২ ফেব্রয়ারি ২০২০ জাজিরা প্রান্তে বসে পদ্মা সেতুর ২৩তম স্প্যান। ৬-এ স্প্যানটি সেতুর ৩১ ও ৩২ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হয়। এতে তিন হাজার ৪৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়। পদ্মা সেতু

২৪তম স্প্যান: ১১ ফেব্র্রুয়ারি ২০২০ ২৪তম স্প্যান বসানো হয়। ৩০ ও ৩১ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হয় ‘৬এ’ স্প্যানটি। এর ফলে ৩ হাজার ৬০০ মিটার দৃশ্যমান হলো। অবশ্য এই স্প্যানটি রেলওয়ে এবং রোডওয়ে স্লাব বসানোর সুবিধার্থে এর আগে ২০১৯ সালের ৬ মে ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারের ওপর অস্থায়ীভাবে বসানো হয়েছিল।

২৫তম স্প্যান: ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জাজিরা প্রান্তে বসে পদ্মা সেতুর ২৫তম স্প্যান।  ৫-ই স্প্যানটি ২৯ ও ৩০ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হয়। এটি বসানোর পর সেতুর তিন হাজার ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

২৬তম স্প্যান: ২০২০ সালের ১০ মার্চ পদ্মা সেতুতে ২৬তম স্প্যান বসানো হয়। জাজিরা প্রান্তে ২৮ ও ২৯ নম্বর পিয়ারে ৫-ডি আইডি নম্বরের স্প্যানটি বসানো হয়। ফলে সেতুর ৩৯০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

২৭তম স্প্যান: ২৮ মার্চ ২০২০ পদ্মা সেতুতে ২৭তম স্প্যান বসানো হয়। জাজিরা প্রান্তের ২৭ ও ২৮ নম্বর খুঁটির ওপর ৫-সি আইডির স্প্যানটি বসানো হয়। যার মাধ্যমে সেতুর ৪ হাজার ৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়। পদ্মা সেতু (ছবি: ফোকাস বাংলা)

২৮তম স্প্যান: ১১ এপ্রিল ২০২০ সেতুতে ২৮তম স্প্যান বসানো হয়। সেতুর প্রায় মাঝামাঝি অংশে ২০ ও ২১ নম্বর পিয়ারের ওপর ৪-বি স্প্যানটি বসানো হয়। যার মাধ্যমে সেতুর ৪ হাজার ২০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

২৯তম স্প্যান: ২০২০ সালের ৪ মে ২০২০ করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সেতুর ২৯তম স্প্যান বসানো হয়। মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে ১৯ ও ২০ নম্বর পিয়ারের ওপর ৪-এ স্প্যানটি বসানো হয়। এতে পদ্মা সেতুর ৪ হাজার ৩৫০ মিটার অংশ দৃশ্যমান হয়।

৩০তম স্প্যান: ২০২০ সালের ৩০ মে সেতুর ৩০তম স্প্যান বসে। সেতুর জাজিরা প্রান্তের ২৬ ও ২৭ নম্বর পিয়ারের ওপর ‘৫বি’ নম্বর এ স্প্যানটি বসানো হয়। এতে সেতুর সাড়ে ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়।

৩১তম স্প্যান: ২০২০ সালের ১০ জুন পদ্মা সেতুর ৩১তম স্প্যানটি বসানো হয়। সেতুর ২৫ ও ২৬ নম্বর পিয়ারের জাজিরা প্রান্তে ৫-এ স্প্যান বসানো হয়। এতে পদ্মা সেতুর ৪ হাজার ৬৫০ মিটার অংশ দৃশ্যমান হয়।

৩২তম স্প্যান: ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর সেতুর মাওয়া প্রান্তে ৩২তম স্প্যান বসানো হয়। সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিয়ারের ওপর ১-ডি আইডির স্প্যানটি বসানো হয়। এতে সেতুর ৪ হাজার ৮০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।

৩৩তম স্প্যান: ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ৩ ও ৪ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হয় ৩৩তম স্প্যান ‘ওয়ান-সি’। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৪ হাজার ৯৫০ মিটার।

৩৪তম স্প্যান: ২৫ অক্টোবর ২০২০ সেতুর মাওয়া প্রান্তে ৭ ও ৮ নম্বর পিয়ারের ওপর স্প্যান ২-এ বসানো হয়। ৩৪তম এ স্প্যান বসানোর ফলে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৫ হাজার ১০০ মিটার।

৩৫তম স্প্যান: ৩০ অক্টোবর ২০২০ সেতুর  মাওয়া প্রান্তে  ৮ ও ৯ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ৩৫তম স্প্যান ২-বি। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৫ হাজার ২৫০ মিটার।

৩৬তম স্প্যান: ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর ২ ও ৩ নম্বর  পিয়ারের ওপর ৩৬তম স্প্যান (স্প্যান ১-বি) এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৫ হাজার ৪০০ মিটার।

৩৭তম স্প্যান: ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর মাওয়া প্রান্তের ৯ ও ১০ নম্বর পিয়ারের ওপর ৩৭তম স্প্যান (স্প্যান ২-সি) এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৫ হাজার ৫৫০ মিটার। পদ্মা সেতু

৩৮তম স্প্যান: ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর পদ্মা সেতুর ৩৮তম স্প্যান বসানো হয়। মাওয়া প্রান্তের ১ ও ২ নম্বর খুঁটির ওপর ১-এ নামের স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্যদিয়ে সেতুর ৫৭০০ মিটার দৃশ্যমান হয়। অবশ্য খুঁটির চেয়ে ১ নম্বর পিলারের গঠন সম্পূর্ণ আলাদা। ওই খুঁটিতে ১৬টি পাইল স্থাপন করা হয়। অন্যান্য স্থাপন করা পিলারে ৬/৭টি পাইল। ১ নম্বর খুঁটির ওপর দিয়েই মাওয়া প্রান্ত দিয়ে সেতুতে গাড়ি ও ট্রেন প্রবেশ করবে।

৩৯তম স্প্যান: ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর ১০ ও ১১ নম্বর পিয়ারের ওপর ৩৯তম স্প্যান (স্প্যান ২-ডি), এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৫ হাজার ৮৫০ মিটার।

৪০তম স্প্যান: ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নম্বর পিয়ারের ওপর ৪০তম স্প্যান (স্প্যান ২-ই) এবং এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর ৬ হাজার মিটার (৬ কি. মি)।

৪১তম স্প্যান: সর্বশেষ ৪১ নম্বর স্প্যান (স্প্যান ২-এফ) বসে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারের ওপর। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হয় সেতুর পুরো ৬ হাজার ১৫০ মিটার। এই স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে স্বপ্নের সেতুর স্বপ্নপূরণের অনেক কাছাকাছি চলে এসেছে।

আরও পড়ুন-
যুক্ত হলো পদ্মার দুই পাড়, স্বপ্নের সেতু দৃশ্যমান

কাজ শেষ হলো তিয়ান-ই’র

কোনও ব্যক্তি নয়, নদীর নামেই হবে ‘পদ্মা সেতু’

পদ্মা সেতুর ব্যয় বেড়েছে তিনগুণ

 

/এফএস/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা: উদ্বিগ্ন টিআইবি
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদকর্মীদের প্রবেশে বাধা: উদ্বিগ্ন টিআইবি
আপাতত গরমেই খেলতে হচ্ছে সাবিনা-সানজিদাদের
আপাতত গরমেই খেলতে হচ্ছে সাবিনা-সানজিদাদের
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর যুবরাজ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর যুবরাজ
সর্বাধিক পঠিত
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন