X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

কুকুর নিয়ে বেকায়দায় ‍গুলশান থানা

উদিসা ইসলাম
১৩ এপ্রিল ২০১৬, ২০:৫৩আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০১৬, ১৭:৪৬

গুলশান থানায়  জার্মান শেফার্ড অপরাধীদের ঘায়েল করতে যাদের বেগ পেতে হয় না, তারা এবার বেকায়দায় পড়েছে একটি কুকুর নিয়ে। পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা- এই উপমা এক্ষেত্রে একেবারেই কাজে লাগছে না। রাস্তায় পাওয়া কুকুরটিকে আদর-যত্ন করে খাওয়ানো, পরিচ্ছন্ন করে রাখার দায়িত্ব পালন করছে গুলশান থানা পুলিশ। আর করবে না কেন? কুকুরটিতো যেনতেন না, এ যে জার্মান শেফার্ড।

কেবল থানাই না, এই ‍কুকুর কাঁপিয়ে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও। বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়ালফেয়ার ফাউণ্ডেশন -এর অভয়ারণ্য পেজে লেখা হয়েছে, এই কুকুরটি ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় পাওয়া গেছে।  গুলশান থানা কুকুরটি আজমত আলী নামে একজনকে দিয়ে দিয়েছে বলে তারা দাবি করলেও  কুকুরটি এখনও থানাতেও আছে। কুকুর ছাড়াও  অন্য  প্রাণী পোষেন এমন কয়েক ব্যক্তি কুকুরটি তার পোষা কুকুরের মতোই দেখতে বলে দাবিও করেন। কেউ কেউ গুলশান থানায় গিয়ে কুকুরটির ছবিও তুলে এনেছেন।  ছবি দিয়ে চলছে মালিক খোঁজার চেষ্টা। 

দীর্ঘদিন বাসায় কুকুর পালন করেন এমন একজন ব্যবসায়ী রিয়াজুল বারী। তিনি বলেন, পোষা কুকুরের ক্ষেত্রে জার্মান শেফার্ড এর কদর অনেক। কেননা, জার্মান শেফার্ড সবচেয়ে বিশ্বস্ত কুকুর বলে বিবেচিত হয়। যারা কিনা পরিবারের দেখা শোনাও করে, বিশেষ করে বাচ্চাদের।ছোট বাচ্চা আছে এমন পরিবারের জন্যে বাইরের দেশে এদের রাখা হয়।

গুলশান থানায়  জার্মান শেফার্ড গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কুকুরটি এখনও থানাতেই আছে। আমরাই এর দেখভাল করছি। তবে বেশ বেকায়দায়ও আছি। এধরণের ‍কুকুরের দেখাশোনার নিশ্চয়ই আলাদা কৌশল আছে। কেউ এর মালিক দাবি করতে এসেছিলেন কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, গত তিনদিনে এমন কেউ থানায় আসেননি। যদি আসেন সেক্ষেত্রে যথাযথ প্রমাণ দিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। আর যদি কোনও দাবিদার না আসেন সেক্ষেত্রে কুকুরটি নিয়ে কী করবেন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা ডিএমপি সদর দফতরে জানাবো যে, তারা এটাকে ডগস্কোয়াডে নেবেন কিনা। যদি না নেন সেক্ষেত্রে যারা পশু সংরক্ষণ করেন, তাদের কাছে নিয়ম মেনে তুলে দেওয়া হবে। দিনের পর দিন থানায় কুকুর রাখা সম্ভব না।

কিভাবে কুকুরটিকে পাওয়া গেল জানতে চাইলে থানার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এটি আমাদের পুলিশবক্সের পাশে ছিল। বাঁধা ছিল না বলেই আমি জানি। তবে, এধরণের কুকুর দেখতে অভ্যস্ত না থাকায় সবাই ভয় পাচ্ছিলেন। পরে এটাকে ধরে থানায় আনা হয়। তিনি বেকায়দার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা কেউ জানি না এদের যত্ন কিভাবে নেওয়া হয়। তবে মোটামোটি  যত্ন নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, লাইসেন্স না থাকায় কেউ এটাকে হয়তো ফেলে দিয়ে যেতে পারেন। নিশ্চিত বলা না গেলেও সে সম্ভাবনা আছে।

/এপিএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
বজ্রাঘাতে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় কারিগরি ত্রুটি, দীর্ঘ যানজট
বজ্রাঘাতে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় কারিগরি ত্রুটি, দীর্ঘ যানজট
স্যালাইনের দাম না বাড়াতে সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্যালাইনের দাম না বাড়াতে সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শরীয়তপুরে আগুনে পুড়লো ৯ দোকান, ক্ষতি দুই কোটি টাকা
শরীয়তপুরে আগুনে পুড়লো ৯ দোকান, ক্ষতি দুই কোটি টাকা
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র