গণমাধ্যমে অনেক কিছু প্রচার হয়। সবকিছুই সত্য নয়, আবার সব মিথ্যাও নয়। তদন্তের স্বার্থে আইন মেনেই বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার বাদী বাবুল আক্তার নিজেই। তাই তাকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর ধোলাইপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে কমিশনার এসব কথা বলেন। ডিএমপির ওয়ারী জোনের উপ-কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলামের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গণমাধ্যমে অনেক কিছু প্রচার হয়। সবকিছুই সত্য নয়, আবার সব মিথ্যাও নয়। মিতু হত্যার ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছে সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে। তারপরও কিছু গণমাধ্যম কেন বাবুল আক্তারকে নিয়ে অপপ্রচার চালায় সেটা আমাদের জানা নেই।’
শুক্রবার মধ্যরাতে রাজধানীর মেরাদিয়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে মতিঝিল জোনের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বাবুল আক্তারকে নিয়ে আসা হয় মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে। এরপর তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে গুজবের ডালপালা ছড়াতে থাকে। শনিবার বিকালে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাহবুবুল আলমের গাড়িতে তাকে আবার শশুরবাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
গত ৫ জুন নগরীর জিইসি’র মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। এ ঘটনার পরদিন পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
/জেইউ/এসটি/এপিএইচ/
আরও পড়ুন:
শ্বাসরুদ্ধকর ১৬ ঘণ্টায় যা ঘটলো