X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

জেনেভা ক্যাম্পের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৩ জানুয়ারি ২০১৭, ০৩:০৫আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০১৭, ০৩:০৬

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার জেনেভা ক্যাম্পের ৩২নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান এস কে গোলাম জিলানীর (৬২) নামে মিথ্যা মাদক মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তার স্বজনরা। তাদের অভিযোগ, পুলিশ চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে থানায় ডেকে নিয়ে ২৪ ঘণ্টা পর মামলা দায়ের করে তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।

স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন রবিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে চেয়ারম্যানের স্বজনরা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। স্বজনদের দাবি, পুলিশি তদন্ত নয়, বিচার বিভাগীয় তদন্ত করলেই আসল সত্য বের হয়ে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান গোলাম জিলানীর শ্যালক মো. ওয়াকিল (জিএস) বলেন, ‘গত ১৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ এস কে গোলাম জিলানীকে চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে থানায় ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তার সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড পাকিস্তান জেনারেল রিপিটেশন কমিটির (এসপিজিআরসি) তথ্য ও বার্তা সম্পাদক শামসাদ সামাদও ছিলেন। থানায় ডেকে নিয়ে তাদের দুজনকে আটকে রাখা হয়। আমরা খবর পেয়ে থানায় গেলে চেয়ারম্যানকে সকালে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করে পুলিশ। এসময় আমাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহারসহ গ্রেফতারের ভয় দেখানো হয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পরেও তাকে না ছেড়ে ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে মিথ্যা ও বানোয়াট মাদক মামলা দিয়ে চেয়ারম্যান ও শামসাদকে গ্রেফতার দেখানো হয়। কিন্তু যদি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হয় তাহলে এই মিথ্যা মামলার আসল উদ্দেশ্য বের হয়ে আসবে।’

চেয়ারম্যান গোলাম জিলানীর ছেলে এস কে গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমার বাবার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মাদক মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে ২৪ ঘণ্ট পর মাদক মামলা দেওয়া হয়েছে। অথচ তিনি মাদকের বিরুদ্ধেই সব সময় সোচ্চার ছিলেন। পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই অনেক মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নিয়েছেন।’

ক্যাম্পেরই কতিপয় বাসিন্দা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে অভিযোগ করে গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বাবা দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এটাই হয়ত কারও কাছে ভালো লাগছে না। চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে সরিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা চেয়ারম্যান হবার পথ পরিস্কার করতে হয়ত এ ধরণের ষড়যন্ত্র করছে। আর পুলিশ তাদের কাজে সহায়তা করেছে।’

এদিকে স্বজনদের কাছে থাকা মামলার কপি থেকে জানা গেছে, চেয়ারম্যান এস কে গোলাম জিলানী ও শামসাদের কাছে সর্বমোট ৪৫০ পিস ইয়াবা এবং ৫০০ পুরিয়া হোরোইন পাওয়া গিয়েছে। এসব মাদকদ্রব্যসহ পুলিশ তাদের হাতেনাতে আটক করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারম্যান এস কে গোলাম জিলানীর স্ত্রী মিসেস মুন্নি বেগম ও ক্যাম্পের বাসিন্দারা।

/আরএআর/এমও/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রেশনে পণ্য চান শ্রমিকরা
রেশনে পণ্য চান শ্রমিকরা
অশ্রুসিক্ত হয়ে চেলসি ছাড়ার ঘোষণা ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের
অশ্রুসিক্ত হয়ে চেলসি ছাড়ার ঘোষণা ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের
বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-রিসোর্সের ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান ইউজিসি’র
বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-রিসোর্সের ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান ইউজিসি’র
নগরের তীব্র উত্তাপ কি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মনকে ছুঁতে পারে?
নগরের তীব্র উত্তাপ কি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মনকে ছুঁতে পারে?
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ