X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

পাবনার সেই ডেপুটি সিভিল সার্জন সাময়িক বরখাস্ত

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৬ মার্চ ২০১৭, ১৯:১১আপডেট : ২৬ মার্চ ২০১৭, ১৯:৪৫

দালাল চক্র থেকে রক্ষা পেলেও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ফেঁসে গেলেন পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কে এম আবু জাফর। তার সরলতার পক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এপিএস’র সুপারিশ থাকলেও সরকারি চাকরি বিধিমালায় আটকে গেলেন তিনি। তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. একেএম আবু জাফর ও দালাল জাকির যশোর অঞ্চলের জেনারেল কমান্ডিং অফিসার (জিওসি) এর নাম ভাঙিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এপিএস-এর কাছে সিভিল সার্জন পদে পদায়নের জন্য তদবির করায় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কে এম আবু জাফর সাময়িক বরখাস্ত হন। এছাড়া ভুয়া পরিচয়ে ফোন করিয়ে দেওয়া এবং তদবিরে উৎসাহিত ও সহায়তার জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্টোর কিপার হাসান আলীকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কে এম আবু জাফরকে উদ্দেশ করে স্বাস্থ্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গত ২৩ মার্চের আদেশে বলা হয়, ‘১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার ১১(১) বিধি মোতাবেক আপনাকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।’ একই বিধি মোতাবেক অপর আদেশে স্টোর কিপার হাসান আলীকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে যশোরের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমানের নামে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের এপিএস মীর মোশাররফ হোসেনের কক্ষে তদবির করতে যান জাকির হোসেন নামের এক দালাল। ওই সময় ডা. কে এম আবু জাফর সঙ্গে ছিলেন। তদবিরে গিয়ে দালাল জাকিরকে সন্দেহ করেন মন্ত্রীর এপিএস। পরে তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়।

ঘটনার দিন পাবনার ওই ডেপুটি সিভিল সার্জন জানান,‘দালালের সঙ্গে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্টোর কিপার হাসান আলী পরিচয় করিয়ে দেন। দালাল জাকিরের মাধ্যমে কথা হয় ভুয়া জিওসির সঙ্গে। টেলিফোনে কথা বলার পর তাদের সচিবালয়ে নিয়ে যান দালাল জাকির।

পরে বাংলা ট্রিবিউনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ভুয়া জিওসির টেলিফোন নম্বরটি ছিল মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক শরিফুলের। ডেপুটি সিভিল সার্জন অনেক দিন থেকে পদায়নের অপেক্ষার পর নিজ কার্যালয়ের স্টোর কিপারের কথায় বিশ্বাস করে ফেঁসে যান। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ঘটনার দিন দালালের খপ্পরে পড়লে তার পক্ষে সুপারিশ করেন পাবনা সদরের স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম পারভেজ খন্দকার প্রিন্স। তার সরলতার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সসম্মানে পাবনায় কর্মস্থলে যেতে বলা হয়। ঘটনার দিন স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রিন্স বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছিলেন, ‘একান্তই সরল মানুষ হিসেবে দালালের খপ্পরে পড়েছেন, তাই আমি তার পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সুপারিশ করি।’

/এসএমএ/টিএন/আপ-এমও/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এমপি আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে শোক জানালো সংসদ
এমপি আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে শোক জানালো সংসদ
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কোকাকোলার বোতল সরিয়ে আলোচনায় সিকান্দার রাজা
কোকাকোলার বোতল সরিয়ে আলোচনায় সিকান্দার রাজা
মিল্টন সমাদ্দার প্রতিহিংসার শিকার: আইনজীবী
মিল্টন সমাদ্দার প্রতিহিংসার শিকার: আইনজীবী
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে