পায়ে নতুন ব্যান্ডেজ করাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকাল তিনটার দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যান। বিএসএমএমইউ’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী তার পায়ের ব্যান্ডেজ খোলার জন্য এসেছিলেন। সেটি খুলে নতুন ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি বাসায় চলে গেছেন।’
আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘তিনি মোটামুটি ভালোই আছেন। তবে পায়ে একটু সমস্যা আছে। পা-টা ফোলা আছে।’
এ বিষয়ে জানতে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মেয়ে ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর বাথরুমে পড়ে গিয়ে পায়ে আঘাত পান ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। সে সময় তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের সিসিইউতে নেওয়া হয়। পরে গত ২৩ নভেম্বর হেপাটোলজি (লিভার) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের অধীনে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি হন প্রিয়ভাষিণী। গত ২০ ডিসেম্বর তাকে বাসায় নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও লিভার, কিডনি, ইউরিন ও থাইরয়েডের সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। গত ১০ ডিসেম্বর অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নকুল কুমার দত্ত তার বাম পায়ের গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার করেন।
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী (৭০) মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হন। গত বছরের ১১ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার। সে সময় তিনিসহ ১২৩ জন নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পান।