জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন প্রথমে ২২ মে পর্যন্ত স্থগিত এবং পরে আরেকটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ মে পর্যন্ত স্থগিতাদেশ কমিয়ে আনেন আপিল বিভাগ। তবে সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে এই ৮ মে সময় আরও কমিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
আদালতের আদেশের পর সোমবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আপিল বিভাগে গিয়েও ফিরে আসেন তারা।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল এজলাসের নির্ধারিত ডায়াসের সামনে দাঁড়িয়ে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার আদালতকে বলেন, ‘আদালতের কাছে আমাদের বিনীত আবেদন— সবার পক্ষ থেকে করজোরে আবেদন করছি, খালেদা জিয়ার মামলা ভ্যাকেশনের (সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি) আগেই শুনানির দিন ধার্য করা হোক।’
তখন আদালত বলেন, ‘আমরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ৮ মে দিন ধার্য (খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি) করেছি। আমরা প্রথমে যে আদেশ দিয়েছিলাম, আপনাদের অনুরোধে পুনর্বিবেচনা করেছি। আদেশ হয়ে গেছে। এখন আর পরিবর্তন সম্ভব নয়।’
এরপরও ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার শুনানির দিন এগিয়ে আনার জন্য অনুরোধ জানাতে থাকলে আদালত বলেন, ‘আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ৮ মে এই মামলা শুনানির জন্য তালিকায় শীর্ষে থাকবে। বিরতিহীনভাবে শুনানি হবে। ৮ মে না হলেও ৯ মে’র মধ্যে এই মামলা নিষ্পত্তি করবো।’
পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালত কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন।
ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ছাড়াও এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।