X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে প্রতি ১০ হাজারে ১৭ জন শিশু অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১২ জুলাই ২০১৮, ২৩:৩৬আপডেট : ১২ জুলাই ২০১৮, ২৩:৪২


অটিজম বিষয়ে ইপনার জরিপের তথ্য প্রকাশ
বাংলাদেশে অটিজম আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে চালানো দেশব্যাপী জরিপে জানা গেছে, ১৬ থেকে ৩০ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে অটিজম বিস্তারের হার প্রতি ১০ হাজারে ১৭ জন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) দেশব্যাপী  এ জরিপ চালিয়ে বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
 বিএসএমএমইউ’র ‘এ’ ব্লক অডিটোরিয়ামে ইপনা’র আয়োজনে এক ডিসেমিনেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
জরিপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি আন্তরিক। বিশেষ করে অটিজম ও অন্যান্য স্নায়ুবিকাশজনিত সমস্যায় আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের সুরক্ষায় সরকার দু’টি আইন করেছে। এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত হারকে ভিত্তি করে ভবিষ্যতে অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের সেবায় সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি হাতে নেওয়া সম্ভব হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ইপনা প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল- এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের সেবায় ইপনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় পাশে থাকবে। সবধরনের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে।  
জরিপ নিয়ে প্রারম্ভিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইপনার কর্মকর্তা ডা. জান্নাত আরা শেফা।  ডিসেমিনেশন প্রোগ্রামে জানানো হয়, ২০১৭ সালের মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশের ৮টি বিভাগের ৩০টি জেলার ৮৫টি এলাকা চিহ্নিত করে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ১৬ থেকে ৩০ মাস বয়সী মোট ৩৮ হাজার ৪শ’ ৪০ জন শিশুর ওপর পরিচালিত এই জরিপে স্ক্রিনিং টুল হিসেবে প্রথমে ‘রেড ফ্ল্যাগ’ পরে ‘এম-চ্যাট’ এবং সব শেষে ‘ডিএসএম-ফাইভ’ ব্যবহার করা হয়। এতে প্রতি ১০ হাজারে ১৭ জন শিশুর অটিজম পাওয়া যায়। এদের মধ্যে পল্লি এলাকায় প্রতি ১০ হাজারে ১৪ জন, শহর এলাকায় প্রতি ১০ হাজারে ২৫ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। জরিপে প্রাপ্ত ফলাফলে আক্রান্ত মেয়ে শিশুর চাইতে ছেলে শিশুর সংখ্যা প্রায় আড়াই গুণ বেশি দেখা যায়।
উল্লেখ্য, বিএসএমএমইউ’র প্রথম এবং একমাত্র ইনস্টিটিউট ইপনা তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অটিজম ও অন্যান্য স্নায়ুবিকাশজনিত সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় সেবা ও পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি উচ্চতর গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।


/টিওয়াই/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
কেমন চলছে ১৪ দলীয় জোট?
কেমন চলছে ১৪ দলীয় জোট?
গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
‘সরকারকে যারা চাপ দেবে তারা নিজেরাই যথেষ্ট চাপে রয়েছে’
‘সরকারকে যারা চাপ দেবে তারা নিজেরাই যথেষ্ট চাপে রয়েছে’
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম