X
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

ট্যুরিস্ট ভিসায় আগমন, অবৈধ বসবাস ও প্রতারণা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৯ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:১৪আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:২১

প্রতারণার অভিযোগে আটক আফ্রিকান নাগরিকরা ফুটবল খেলা ও বিভিন্ন ব্যবসার নামে ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে আসেন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও একেকজন বছরের পর বছর বছর ধরে বাংলাদেশেই অবস্থান করছেন। আর নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছেন তারা। কয়েকজন আফ্রিকানকে আটকের পর এই তথ্য পেয়েছে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফট্যানেন্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।

এর আগে, বুধবার (২৮ নবেম্বর) দিনগত রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বসবাসরত আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের ১৪ জন নাগরিককে আটক করে র‍্যাব-১। দীর্ঘদিন ধরে তারা প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলো। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ২৯টি মোবাইল সেট, ২টি ল্যাপটপ, নগদ ১ লাখ ৫৮৫ টাকা, ১ হাজার ১৩ ডলার ও বিভিন্ন ব্যাংকের কয়েকটি চেক উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব-১ এর সিও সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘আফ্রিকান এই নাগরিকরা মূলত ফুটবল খেলা ও বিভিন্ন ব্যবসার নামে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তারা এখানে অবস্থান করছিলেন। আটককৃতদের মধ্যে নাইজেরিয়ার ৭ জন, উগান্ডার ২ জন, ক্যামেরুনের ১ জন, কঙ্গোর ১ জন, লাইবেরিয়ার ১ জন, তানজানিয়ার ১ জন এবং মোজাম্বিকের ১ জন নাগরিক রয়েছেন।’ প্রেস ব্রিফিংয়ে র‍্যাব কর্মকর্তারা

তিনি বলেন, ‘ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া আইডি খোলে এরা। তারা নিজেদের আফগানিস্তানে যুদ্ধরত সৈনিক বা জাতিসংঘের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে এদেশের অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। একপর্যায়ে বন্ধুর জন্য দামী উপহার পাঠাবে বলে জানায়। কয়েকদিন পর এ চক্রেরই বাংলাদেশি সদস্যরা ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে ফোন দিয়ে কাস্টমস বা ডাক বিভাগের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কথা বলে। ট্যাক্স ফি বা অবৈধ জিনিসের কথা বলে উপহার ছাড়ানোর জন্য বলে। এক পর্যায়ে তাদের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেয় বিপুল পরিমাণ অর্থ।’

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, উদ্ধারকৃত বিভিন্ন ব্যাংকের চেকের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলেই তাদের প্রতারণার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বেরিয়ে আসে। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, সাদা কাগজে রাসায়নিক মিশিয়ে ডলার তৈরির প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকেও বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।’

এ চক্রটি প্রতিমাসে ৩০-৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করে কয়েকজন বাংলাদেশিরা সহায়তা করেন। সেসব বাংলাদেশিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

র‍্যাব-১ এর সিও বলেন, ‘এই চক্রের মূল হোতা হিসেবে মার্ক নামে নাইজেরীয় এক নাগরিককে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি। আমরা খবর পেয়েছি সে দেশ ছেড়েছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের বের করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’

 

 

/এসজেএ/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শাহাদাতের সুযোগ এলে পিছপা হবো না: আসিফ মাহমুদ
শাহাদাতের সুযোগ এলে পিছপা হবো না: আসিফ মাহমুদ
চুয়াডাঙ্গায় ট্যাংকলরি-ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ৩
চুয়াডাঙ্গায় ট্যাংকলরি-ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ৩
ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আ.লীগ নেতা বাবাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আ.লীগ নেতা বাবাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
সর্বাধিক পঠিত
দেশের এই পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন: জামায়াত আমির
দেশের এই পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন: জামায়াত আমির
ইরানি তেল বাণিজ্যে আবারও আঘাত যুক্তরাষ্ট্রের
ইরানি তেল বাণিজ্যে আবারও আঘাত যুক্তরাষ্ট্রের
৯ ধরনের মামলার আগে মধ্যস্থতার বাধ্যবাধকতা: বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে?
৯ ধরনের মামলার আগে মধ্যস্থতার বাধ্যবাধকতা: বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে?
জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
জামায়াতের অনুষ্ঠানে ‘সৎ’ লোককে ভোট দিতে বলা পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
দুই ভাইয়ের বিরোধে মুরাদনগরের সেই ঘটনার ভিডিও ছড়ানো হয়: র‌্যাব
দুই ভাইয়ের বিরোধে মুরাদনগরের সেই ঘটনার ভিডিও ছড়ানো হয়: র‌্যাব