নারীর জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমসহ দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল তৈরির দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে যৌন নিপীড়কদের প্রশ্রয় না দেওয়ারও দাবি জানানো হয়। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘# মি টু বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান বক্তারা।
২০১০ সালে উচ্চ আদালতে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধের দেওয়া নির্দেশনা উল্লেখ করে মানববন্ধনে সাংবাদিক সাজেদা হক বলেন, ‘আইনটি এমনিতেই আছে, এখন কেবল কার্যকর করা বাকি। আমরা অনুরোধ করবো প্রচলিত আইন মেনে প্রতিটি গণমাধ্যমসহ সব পেশা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল তৈরি করা হোক।’
তিনি বলেন, ‘সব ধরনের নিপীড়ন বন্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। যৌন নিপীড়ক এবং তাদের মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে এ ধরনের অপরাধ কমে আসবে। প্রতিষ্ঠান যৌন নিপীড়নকে সমর্থন না করলে কত দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় তার উদাহরণ হচ্ছে একুশে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।’
উন্নয়নকর্মী মুশফিকা লাইজু বলেন, ‘আমাদের দেশে আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই। তাই আমরা অনুরোধ করবো নারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সেল গঠন এখন সময়ের দাবি।’ মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, নারীর প্রতি যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে দুনিয়াজুড়ে ‘#মি টু’ আন্দোলনের ছোঁয়া এসে লেগেছে বাংলাদেশেও। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মিটু হ্যাশট্যাগ দিয়ে নিজের যৌন হয়রানির কথা উল্লেখ করে পোস্ট দিয়েছেন।