X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিষ্ঠান সিলগালার হুমকি দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক স্বাক্ষর!

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৬ নভেম্বর ২০১৯, ০২:১৬আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ০২:১৯

প্রতিষ্ঠান সিলগালার হুমকি দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক স্বাক্ষর! প্রতিষ্ঠান সিলগালার হুমকি দিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা স্বীকারোক্তিমূলক স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আসক-এর দাবি, ১৪ নভেম্বর তাদের অফিসে রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনার সময় কর্মকর্তারা আগ্রাসী আচরণ করেছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) আসক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ জানান শীপা হাফিজা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে আগামী দুই মাসের মধ্যে কার্যালয় ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ এবং দুই লাখ টাকার যে জরিমানা করেছে, এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন শীপা হাফিজা।

এ অভিযান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা টার্গেটেড কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে শীপা হাফিজা বলেন, তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে মনে হয়েছে তারা কোনও যুক্তি বা আইন বুঝতে চাইছেন না। উল্টো বার বার হুমকি দিচ্ছিলেন। এমনকি আমাদের সহকর্মীকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখেছিলেন। এই বিষয়গুলো আমাদের মনে শঙ্কা তৈরি করেছে যে, কেউ না কেউ আমাদের সংস্থার উপর ক্ষুব্ধ। হয়তো সেজন্য তারা এ কাজ করছে। আমরা জানি না তারা কারা। তবে এই আদালত সাধারণভাবে যখন আসেন, তখন আশেপাশের সমপর্যায়ের ভবনগুলোতেও যান। কিন্তু সে দিনের আমাদের এখানে অভিযানের আগে পরে তারা অন্য কোথাও যাননি।

তিনি বলেন, তাদের আচরণ দেখে মনে হয়েছিল কিছু একটা উদ্দেশ্য আছে। এর আগে আমাদের মতো কোনও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এ ধরনের অভিযান হয়েছে বলে জানা নেই। যে আইনটা আমাদের জন্য প্রযোজ্য না; সেটাই তারা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে।

আসক-কে অবৈধভাবে জমিমানা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন শীপা হাফিজা। তিনি বলেন, রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৫২-এর ৩ (ক) ধারা মতে আসককে দুই মাসের মধ্যে কার্যালয় ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। এই আইনিটি ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়াদির সঙ্গে সম্পৃক্ত, যেখানে ভবন মালিক, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ও এতদসংশ্লিষ্টরা জড়িত। কিন্তু আসক কোনওভাবেই ভবন নির্মাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, কেবল ভাড়াটে হিসেবে ভবনটি ব্যবহার করছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের সমালোচনা করে শীপা হাফিজা বলেন, তারা যেভাবে এসেছেন, যে রকম আগ্রাসী আচরণ করেছেন, অনেক উঁচু গলা নিয়ে তারা এসেছেন। আমরা একটা মানবাধিকার সংস্থা। ৩৩ বছর ধরে কাজ করছি। আমাদের মতো সংস্থাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। সাধারণ জনগণের কাছে এই দলটাইতো যান। তখন কী পরিস্থিতি তৈরি হয় তা বোঝা যায়। আমরা সব সময়ই বলেছি, মোবাইল কোর্ট একটি বিতর্কিত বিষয়। আমার মতো মানুষের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে সিগনেচার নেওয়ার চেষ্টা করেছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তারা কী করেন?

সংবাদ সম্মেলনে আসকের নির্বাহী কমিটির মহাসচিব তাহমিনা রহমান বলেন, আমরা মনে করি ভ্রাম্যমাণ আদালত যে আদেশটি দিয়েছেন তা ন্যায়সংগত নয়। দেশের প্রচলিত আইনে যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার পথ আমাদের জন্য খোলা থাকবে সে পদক্ষেপই আমরা নেবো।

উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর লালমাটিয়ায় আসকের কার্যালয় অভিযান চালায় রাজউক। এ সময় আবাসিক এলাকা থেকে দুই মাসের মধ্যে অফিস ছাড়তে প্রতিষ্ঠানটিকে নির্দেশ দেন রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

/আরজে/এমপি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ
মালয়েশিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে মুক্তিযোদ্ধাকে গাছে বেঁধে বিচারের হুমকি
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে মুক্তিযোদ্ধাকে গাছে বেঁধে বিচারের হুমকি
রোগীকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসে সড়কে প্রাণ গেলো ৩ জনের
রোগীকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসে সড়কে প্রাণ গেলো ৩ জনের
তীব্র গরমে বেড়েছে রিকন্ডিশন্ড এসির চাহিদা
তীব্র গরমে বেড়েছে রিকন্ডিশন্ড এসির চাহিদা
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, বগি লাইনচ্যুত
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, বগি লাইনচ্যুত