X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে শুদ্ধি অভিযানের দাবি

জবি প্রতিনিধি
০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ২০:০৯আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ২৩:৩১

পার্বত্য শান্তিচুক্তি নিয়ে জাতীয় নাগরিক উদ্যোগের আলোচনা সভায় অতিথিরা

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে শুদ্ধি অভিযানের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

তিনি বলেছেন, বর্তমানে যে শুদ্ধি অভিযান চলছে তার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রালয়কে আনা দরকার ৷ এতবছরেও সরকার বলছে ৪৮টি চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে, আর জন সংহতি সমিতি বলছে ২৪টি।  তার প্রশ্ন, এই তফাৎ বোঝার জন্য ও তা হ্রাস করার জন্য মন্ত্রালয় কী অগ্রণী ভূমিকা রাখলো? যদি কোনও ভূমিকা না রাখতে পারে তাহলে এই মন্ত্রণালয়ের কি প্রয়োজন?

সোমবার (২ ডিসেম্বর) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২২ বছর উপলক্ষে 'পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন হোক জাতীয় অঙ্গীকার' শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ধানমন্ডির উইমেন্স ভলেনটারি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ) মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক উদ্যোগের আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঐক্য ন্যাপ সভাপতি পংকজ ভট্টাচার্য।

অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান আরও বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের থেকে চুক্তি করা কখনও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। ভূমির ওপর অধিকার সবচেয়ে বড় অধিকার। সেই অধিকারই যদি বাস্তবায়ন না করা হয় তাহলে বাকি ৪৮টা শর্ত পূরণ করায় কিছু এসে যাবে না। ভূমির প্রতি অধিকার নিশ্চিত হলেই বাকিগুলো হয়ে যাবে। এই চুক্তি মেনে না নিয়ে চুক্তির প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানো হয়েছে৷

আলোচনা সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক নয়, সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন চায় না। যে সরকারের আমলে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল সে সরকার ১১ বছর ক্ষমতায় থাকলেও সরকারের কেউ ভূমি হস্তান্তরের বিষয়ে কথা বলেনি। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানে ঐ চুক্তি করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার সংরক্ষণ ও বিকাশে চুক্তি বাস্তবায়ন জরুরি।

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর বলেন, এদেশের মানুষের মৌলিক পরিচয় আমরা বাংলাদেশের নাগরিক । আমরা যদি বাংলাদেশের নাগরিক যদি হয়ে থাকি তাহলে হিন্দু-মুসলিম,পাহাড়ি-বাঙালি হিসেবে বিভিন্ন পরিচয়ে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমাদের ট্রিটমেন্ট করা যাবে না। রাষ্ট্রকে ভালো রাখার জন্য, সক্রিয় হওয়া আমাদের সকল মানুষের দায়িত্ব। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু দেশটা সবার হয় নাই। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা রাজনৈতিক সমস্যা, এটা মিলিটারি দিয়ে সমাধান করা যাবে না।

বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আব্দুল মকসুদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা রাজনৈতিক সমস্যা। এটা অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সমস্যা অর্থাৎ সেখানকার মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সেখানকার সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। চুক্তিটা যেহেতু অপূর্ণ রয়েছে সেখানে সমস্যাও রয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে অঙ্গীকারে ঘাটতি রয়েছে। যেহেতু এটি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না এটা জাতীর স্বার্থে অকল্যাণকর।

অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান, ড. জোবাইদা নাসরীন কণা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।

 

/টিএন/
সম্পর্কিত
মুগদায় রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার
খিলক্ষেতে নকশাবহির্ভূত ভবনে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান
যাত্রাবাড়ীতে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২
সর্বশেষ খবর
প্রথম ধাপের প্রার্থীদের ৫৬ শতাংশই ব্যবসায়ী: টিআইবি
উপজেলা নির্বাচনপ্রথম ধাপের প্রার্থীদের ৫৬ শতাংশই ব্যবসায়ী: টিআইবি
বিজেপি ও তৃণমূলের মাথাব্যথা এখন কম ভোটার উপস্থিতি
লোকসভা নির্বাচনবিজেপি ও তৃণমূলের মাথাব্যথা এখন কম ভোটার উপস্থিতি
দিনে টার্গেট, রাতে ট্রান্সফরমার চুরি করতে লাগে ২০-২৫ মিনিট
দিনে টার্গেট, রাতে ট্রান্সফরমার চুরি করতে লাগে ২০-২৫ মিনিট
আওয়ামী লীগ এখন শূন্য মুড়ির টিন: রিজভী
আওয়ামী লীগ এখন শূন্য মুড়ির টিন: রিজভী
সর্বাধিক পঠিত
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র