X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

‘দরিদ্র মানুষের জন্য মাসে প্রয়োজন ১১ হাজার কোটি টাকা’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ মে ২০২০, ১৭:৫১আপডেট : ২১ মে ২০২০, ২০:২১

করোনায় নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে করোনার কারণে স্বল্প আয়ের মানুষের আয় তলানিতে নেমেছে। তাদের জন্য সরকারি যে সহায়তা আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তাদের সহায়তা করতে মাসে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন বলে মনে করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)। তাদের এক যৌথ গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার (২০ মে) অনলাইন কনফারেন্সে এসব তথ্য তুলে ধরেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন।

পিপিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ৪ থেকে ১২ এপ্রিল ফোনে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই সমীক্ষা হয়। মোট ১২ হাজার পরিবারকে ফোন করে তথ্য সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫ হাজার ৪৭১ পরিবারের কাছে থেকে তথ্য পাওয়া যায়। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল এ সমীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল তুলে ধরা হয়।

গবেষণায় বলা হয়, গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র এবং করোনার কারণে ‘নতুন দরিদ্র’ মানুষকে প্রতি মাসে মাথাপিছু এক হাজার ৪৫০ টাকা এবং শহরের দরিদ্র মানুষকে মাথাপিছু মাসে এক হাজার ৭৪৫ টাকা দিলে সব মিলিয়ে প্রতি মাসে ১০ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকার প্রয়োজন। গ্রাম এবং শহর মিলিয়ে দরিদ্র আছে ৩ কোটি ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৯৮৮ জন এবং ‘নতুন দরিদ্র’ আছে ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫৮ জন।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘নতুন’ দরিদ্র এবং দরিদ্র মিলে সারাদেশে প্রায় ৭ কোটি মানুষ আছেন। এসব মানুষের জন্য মাসে মাসে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন। এই অর্থ দরিদ্র ও নতুন দরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা সহায়তায় ব্যয় হওয়া প্রয়োজন।

করোনায় নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে তিনি আরও বলেন, দরিদ্র মানুষের সহযোগিতায় সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি চালু আছে। কিন্তু কোভিড–১৯ পরিস্থিতিতে এসব মানুষের ওপর যে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে,তা প্রথাগত সহায়তা কর্মসূচিতে দূর করা সম্ভব না। এর জন্য সহায়তার ক্ষেত্রে ভিন্নতা আনতে হবে, ভিন্নভাবে ভাবতে হবে।

গবেষণায় আরও বলা হয়, করোনার কারণে দরিদ্র মানুষের মধ্যে যারা গ্রামে আছেন, তাদের ৬৭ শতাংশের নগদ ও ৭০ শতাংশের খাদ্য সহায়তা দরকার। আর শহরের বস্তিবাসীর ৭০ শতাংশের নগদ ও ৭৮ শতাংশের খাদ্য সহায়তা দরকার। গত ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে অতি গরিব, গরিব, গরিব হয়ে যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষ এবং গরিব নয় এমন মানুষের আয় দৈনিক আয় ৬৫ থেকে ৭৫ শতাংশ কমেছে।

আলোচনায় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতির কারণে দারিদ্র্য বেড়েছে। মানুষ নতুন করে গরিব হচ্ছে। এটা বেশ উদ্বেগজনক। কোভিড টেকসই জীবনযাপনের ওপর প্রভাব ফেলছে।’

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, এ দেশে শহরের দারিদ্র্য নিয়ে খুব বেশি গবেষণা হয়নি। তাই শহুরে দারিদ্র্যের খুব বেশি তথ্য-উপাত্ত নেই। অথচ এই কোভিড পরিস্থিতিতে শহরের গরিব মানুষেরাই বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানান তিনি।

 

/এসও/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বেড়িবাঁধে উন্নত নিরাপত্তা ও গতিশীলতা: মেয়র আতিকুল ইসলামের কাছে ইউল্যাবের আবেদন
বেড়িবাঁধে উন্নত নিরাপত্তা ও গতিশীলতা: মেয়র আতিকুল ইসলামের কাছে ইউল্যাবের আবেদন
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মেধাসম্পদ সুরক্ষা মানে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করা
মেধাসম্পদ সুরক্ষা মানে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করা
অভিষেকে আস্থার প্রতিদান দিলেন তানজিদ
অভিষেকে আস্থার প্রতিদান দিলেন তানজিদ
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা