X
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দুই নদীকে ঘিরে ত্রাসের রাজত্ব ছিল ‘গাংচিল বাহিনী’র

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:০১আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৩০

গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন (মাঝখানে) ও তার দুই সহযোগী সাভারের আমিনবাজার এলাকার দুর্ধর্ষ গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন ওরফে এমপি সালাউদ্দিনকে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার করছে র‌্যাব-৪।  তার দুই সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ২টার দিকে আমিনবাজারের সালেহপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা কথা জানায় র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতদের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে কীভাবে তুরাগ, বুড়িগঙ্গা নদী ও নদী তীরবর্তী এলাকাকে ঘিরে তারা ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেছিল।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৪ জানায়, গ্রেফতারের সময় সালাউদ্দিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি, ১৯০ গ্রাম হেরোইন, ৫০০ পিস ইয়াবা এবং দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।  

২০০০ সাল থেকে আমিনবাজার ও তার আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মধ্য দিয়ে উত্থান হয় গাংচিল বাহিনীর। যার প্রধান ছিল আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার। বেশিরভাগ সময় পানিবেষ্টিত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় এর নাম দেওয়া হয় গাংচিল বাহিনী। ২০১৭ সালে আনারের মৃত্যুর পর তার সহযোগী সালাউদ্দিন ওরফে এমপি সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয়। এ বাহিনী মূলত আমিনবাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বেড়িবাঁধ, কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, খুন ইত্যাদি কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। জব্দ করা অস্ত্র ও গুলি

গাংচিল বাহিনীর বিরুদ্ধে ২০০২ সালে সাভার থানার এক এসআই-কে হত্যা, ২০০৭ সালে দুই র‌্যাব সদস্যকে হত্যা, দিয়াবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্র লুট এবং আমিনবাজার এলাকায় নৌ-টহল দলের অস্ত্র লুটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এ বাহিনী তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীর বালুভর্তি ট্রলার, ইটের কার্গোতে ডাকাতি ও আমিনবাজার এলাকার শতাধিক  ইটভাটা থেকে নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করতো বলেও অভিযোগ আছে। এছাড়াও এলাকার প্রভাবশালীদের টার্গেট করে গাংচিল বাহিনীর সদস্যরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। চাঁদাবাজি, খুন, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইসহ তুরাগ আর বুড়িগঙ্গা নদীর দুই ধারে একছত্র আধিপত্য বিস্তার ছিল এই বাহিনীর প্রধান কাজ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, তারা সবসময় নদীতে ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে এবং বেশিরভাগ সময় নদীপথে যাতায়াত করে। তাদের যাতায়াতের বাহন ছিল ডাবল ইঞ্জিনচালিত ট্রলার। তারা সাভার-আমিনবাজার এলাকার  বিভিন্ন ইটভাটার মালিক ও তুরাগ-বুড়িগঙ্গা নদীতে চলাচলকারী বালুভর্তি ট্রলার মালিকের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা আদায় করতো। চাঁদা না দিলে নেমে আসতো বিপদ।

উল্লেখ্য, এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে আগে থেকেই সাভার মডেল থানায় খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মারামারির একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

/এআরআর/এফএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
এডিসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি: তাপস
ঢাকায় চলবে না ব্যাটারিচালিত রিকশা
রাজধানীতে মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতার ২৭
সর্বশেষ খবর
এডিসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি: তাপস
এডিসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি: তাপস
সরকার দেশকে পরনির্ভরশীল করে ফেলেছে: নজরুল ইসলাম খান
সরকার দেশকে পরনির্ভরশীল করে ফেলেছে: নজরুল ইসলাম খান
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওগুলোর গতিবিধিতে নজরদারি বাড়ছে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওগুলোর গতিবিধিতে নজরদারি বাড়ছে
৫৮১ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ: সাবেক এমপি পোটনসহ ৫ জন কারাগারে
৫৮১ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ: সাবেক এমপি পোটনসহ ৫ জন কারাগারে
সর্বাধিক পঠিত
সোনার অলংকার কেনাবেচায় নতুন হার নির্ধারণ
সোনার অলংকার কেনাবেচায় নতুন হার নির্ধারণ
পেঁয়াজ আমদানি শুরু
পেঁয়াজ আমদানি শুরু
নিজের বাসায় পরীক্ষা নিয়েছিলেন কর কর্মকর্তা!
নিয়োগ বাণিজ্য করে কোটি টাকা আত্মসাৎনিজের বাসায় পরীক্ষা নিয়েছিলেন কর কর্মকর্তা!
একীভূত হতে পারে কেউ পাস না করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
একীভূত হতে পারে কেউ পাস না করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
যে কারণে রাজশাহীর তিন প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল
যে কারণে রাজশাহীর তিন প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল