সমাজে যারা অনুকরণীয় তারাই অনেক সময় স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অথবা ভুলভাবে পালন করছেন এর ফলে সমাজের কাছে ভুল তথ্য যাচ্ছে বলে মনে করছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তারা মনে করেন, একারণে সাধারণ মানুষ সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আর তাই স্বাস্থ্য অধিদফতর সঠিক তথ্য দিয়ে জনসাধারণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে যে মাস্ক বিষয়ক ক্যাম্পেইন করার পরিকল্পনা করছে, তা দ্রুত বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হয় সভাতে।
রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরার্মশক কমিটির ২০তম সভায় এই মতামত দেয় কমিটি। রাতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটির অনলাইন সভায় যুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
সভায় বলা হয়, যদিও টিকা উৎপাদনে সারা বিশ্ব সক্রিয় তারপরও কার্যকর টিকার প্রাপ্যতা সময় সাপেক্ষ এবং সময়সীমা এখনও অনিশ্চিত। আবার যেহেতু জীবিকার স্বার্থে লকডাউন সম্ভবপর নয়, তাই এই মুহূর্তে সঠিকভাবে মাস্ক পরা, সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় চলাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই কোভিড-১৯ প্রতিরোধের একমাত্র উপায়। এই ব্যাপারে জনসাধারণকে আরও সচেতন ও সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন। প্রচারণায় বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিতির উপস্থিতি প্রয়োজন বলেও মত দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে, কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে অল্প পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সভায় কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে অলোচনা করা হয় এবং সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এব্যাপারে ইতোমধ্যে জাতীয় পরামর্শক কমিটির দেওয়া পরামর্শ বাস্তÍবায়ন করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
একইসঙ্গে সভায় বলা হয়- বিভিন্ন দেশ থেকে যাত্রীরা দেশে আসছেন, তাই এ বিষয়ে ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ কিংবা নিয়ম জারি করা প্রয়োজন। সংক্রমণ প্রতিরোধে পয়েন্ট অব এন্ট্রিতে প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন। বিদেশ থেকে আগতদের স্ক্রিনিং, কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যাপারে করোনাট্রেসার অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
কার্যকর রেফারেল ব্যবস্থার জন্য আন্তঃহাসপাতাল নেটওয়ার্ক স্থাপন করার বিষয়ে ইতোপূর্বে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সভায় বলা হয়, সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রযুক্তিভিত্তিক নেটওয়ার্ক স্থাপন করার পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটি সফল হলে পরবর্তীতে অন্যান্য হাসপাতালেও সম্প্রসারণ করা হবে।