X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভুয়া মামলায় আইনজীবীর সাজা ও পরোয়ানা জারির অভিযোগ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২০ অক্টোবর ২০২০, ২০:১২আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২০, ২২:২৯

 

ভুয়া মামলায় আইনজীবীর সাজা ও পরোয়ানা জারির অভিযোগ আদালতের নথি জালিয়াতি করে ভুয়া মামলায় সাজা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী আইনজীবী মফিজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট ল রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে আয়োজিত  সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আইনজীবী মফিজুল ইসলামের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘একটি অসাধু চক্র নিরীহ মানুষকে হয়রানির মাধ্যমে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। খুলনা নারী ও শিশু আদালতের পেশকার দাউদ এরকম জালিয়াতির মাধ্যমে উপার্জিত টাকা দিয়ে খুলনা শহরে তিনটি বাড়ি, নামে-বেনামে সম্পত্তি এবং অবৈধ টাকার মালিক বনে গেছে।’

‘এছাড়া আরেক অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান মনু কোনও ব্যবসা বা চাকরি না করলেও খুলনায় আলিশান ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকে। অথচ মফিজুল ইসলাম আইনজীবী হওয়া সত্ত্বেও এই জালিয়াত চক্রের হাত থেকে রেহাই পাননি। তাই আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনি প্রতিকার চাই। আপনাদের (গণমাধ্যমকর্মী) মাধ্যমে আইন ও বিচার বিভাগে এবং প্রশাসনের কাছে এটাই প্রত্যাশা করি।’

নিজ মক্কেল সম্পর্কে আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগী মফিজুল ইসলাম পেশায় একজন আইনজীবী ও খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মসজিদকুড় গ্রামের  বাসিন্দা। ২০০৮ সালের ১১ ডিসেম্বর তিনি বিয়ে করেন। এরপর একই বছরের ১২ ডিসেম্বর নববধূসহ বাড়িতে আসার পর একই গ্রামের মনিরুজ্জামান মনু এবং বাবুরাবাদ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক গাজীর কন্যা রাবেয়া পারভীন তার বাড়িতে আসেন। রাবেয়া পারভীন মফিজুলের বিবাহিত স্ত্রী বলে দাবি করেন।

পরে ওই ঘটনায় একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর কয়রা আদালতে চক্রান্তকারী মনুসহ অন্যদের আসামি করে একটি মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। পরে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় আসামিপক্ষ জাল কাবিননামা তৈরি করে খুলনার সিএমএম আদালতে যৌতুকের অভিযোগে মামলা করে।

মফিজুলের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘যৌতুকের মামলায় ভুক্তভোগী মফিজুলকে গ্রেফতার করা হয়। জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি ভুয়া ওয়ারেন্ট ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে মামলা করলে আসামিপক্ষও হাজতবাস করে। পরে মামলায় ব্যবহৃত কাবিননামায় উল্লিখিত কাজির ঠিকানায় গিয়ে জানা যায়, নিকাহনামা সম্পাদনকারী কাজি ভুয়া।

খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পেশকার ও জালিয়াত চক্র যোগসাজশে এসব করেছে। তাই চক্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভু্ক্তভোগী মফিজুল ইসলামের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন।

 

/বিআই/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সিটি ক্লাবের সঙ্গে অবনমন হলো গাজী টায়ার্সের
সিটি ক্লাবের সঙ্গে অবনমন হলো গাজী টায়ার্সের
দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড
মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে জাতিসংঘে সমালোচনার মুখে তালেবান
মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে জাতিসংঘে সমালোচনার মুখে তালেবান
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ