মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জয়িতা মানে জয়ী নারী। জীবন সংগ্রামে অপ্রতিরোধ্য ও আত্মপ্রত্যয়ী নারীর নাম জয়িতা। তারা দেশের নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের অনন্য উদাহরণ। কেবল নিজের অদম্য ইচ্ছাকে সম্বল করে চরম প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে যাচ্ছে এই নারীরা।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শিশু একাডেমি মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে খুলনা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘বর্তমান সরকার নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যেই নারীদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে প্রচার এবং নারী-শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারিত করোনার জন্য ঘরে থেকেই নারীরা এখন উদ্যোক্তা হয়ে উঠছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বিপ্লবের কারণে অনলাইনের মাধ্যমে নারীরা এখন ক্ষুদ্র ব্যবসার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা কিন্তু জয়িতার একটি সাফল্য। এখন দেশে নারীরা তাদের পরিবারের আর্থিক সহযোগিতায় অনেকটাই হাল ধরছে। তারা কোনও না কোনোভাবে অর্থের সংস্থান হলেই কিছু একটা উদ্যোগ গ্রহণ করছে।’
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার খুলনায় পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের যৌথ আয়োজনে খুলনা বিভাগের সফল ও আত্মপ্রত্যয়ী পাঁচ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার। স্বাগত জানান, মহিলাবিষয়ক অধিদফতর খুলনা কার্যালয়ের উপপরিচালক নার্গিস ফাতেমা জামিন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, খুলনার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে নারীদের রয়েছে অসামান্য অবদান। জয়িতারা সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।’
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও পুরস্কারের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন— অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে ঝিনাইদহ সদরের লাভলী ইয়াসমিন, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নড়াইলের ড. শেখ মুসলিমা মুন, সফল জননী ক্যাটাগরিতে খুলনার রাবেয়া বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নড়াইলের সানজিদা রহমান আদরী এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় খুলনার অঞ্জনা বালা বিশ্বাস।
