‘ইভিএম-এ চাপ দিতে না পারলে চাপ দেওয়ার জন্য সেখানে আমি মানুষ রাখবো’, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলীয় মনোনীত প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী এমন এক বক্তব্য দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা মহলে এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। তার এই বক্তব্য ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের নজরে এসেছে। আর তাই কমিশন থেকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) এক চিঠির মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র একটি দৈনিক পত্রিকাকে জানায়, ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ইসির তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গত শনিবার (২৮ মে) বাংলাবাজার ১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনি প্রচারে মুজিবুল হক চৌধুরী ওই বক্তব্য দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মুজিবুল হক চট্টগ্রামের ভাষায় ভোটারদের উদ্দেশে হ্যান্ডমাইকে বলেন, ‘তো এখানে ইভিএম একটা করেছে সরকার। তো কী করতাম। একটু কষ্ট করে গিয়ে আঙুলে চাপ দিয়ে ভোট দিতে হবে। চাপ দিতে না পারলে চাপ দেওয়ার জন্য সেখানে আমি মানুষ রাখবো। তো আমাকে একটু দোয়া করবেন সকলে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইভিএম না হলে আমি কাউকে খুঁজতাম না, ভোট আমি মেরে দিতাম। যেভাবে পারি ভোটটা মেরে দিতাম।’
চট্টগ্রামের ওই ঘটনার পাশাপাশি একই চিঠিতে নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুবুর রহমান জামিলকে নির্বাচনি প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ যাচাই-বাছাই করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা যাচাই করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে নরসিংদী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে ইসি। আগামী ১৫ জুন এসব ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে ভাইরাল হওয়া ওই ঘটনা ছাড়াও নির্বাচন ইস্যুতে অন্য কোনও ভাইরাল তথ্য রয়েছে কিনা, তা জানতে চেয়েছে ইসি। ইসি তার জনসংযোগ শাখাকে এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: