মেট্রোরেল সম্পর্কে যারা জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য রাজধানীর উত্তরায় তৈরি করা হয়েছে একটি প্রদর্শনী ও তথ্যকেন্দ্র। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে এ প্রদর্শনী ও তথ্যকেন্দ্রটি খুলে দেওয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ তো এতদিন মেট্রোরেলে চলাচল করেনি। ফলে মেট্রোরেল সম্পর্কে কারও সম্যক ধারণা নেই। এজন্য একটি একজিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টার করা হয়েছে। এটা যদি কেউ পরিদর্শন করেন, তাহলে তিনি মেট্রোরেলে চলার বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।’
এম এ এন ছিদ্দিক জানান, ২০১৬ সালের ১ জুলাই হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় যে ৭ জন জাপানি নাগরিক নিহত হয়েছিলেন, তাদের স্মরণে একটি স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। এ মাসের শেষের দিকে বা আগামী মাসের শুরুর দিকে আমরা এটা উদ্ধোধন করে দেবো।’
জানা গেছে, প্রদর্শনী ও তথ্যকেন্দ্রের ভেতরে ট্রেনের কোচের খণ্ডিত অংশ এবং দুটি সক্রিয় টয় ট্রেন আছে। মেট্রোরেলের ভেতরে কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না— সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদর্শন করা হবে। এছাড়া মেট্রোরেলের ওপর ভিডিও দেখানো হবে। মেট্রোরেলের যাত্রাপথ কোনদিক দিয়ে গিয়ে কোথায় মিশেছে— সেসবের বিস্তারিত বিবরণ ভিডিওতে পাওয়া যাবে।
এই কেন্দ্রে হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাত জন জাপানি কনসাল্টেন্টের স্মরণে যে স্মৃতিফলক তৈরি করা হয়েছে, গত ২৪ জুলাই এই স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া সেদিন জাপানের বৈদেশিক বিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার হোন্ডাসহ একটি দল স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।