মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দ্বিতীয় দফায় নিম্নআয়ের কর্মীদের বেতন বাড়িয়েছে রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম। এর মাধ্যমে কর্মীদের আয়-ব্যয়ের পার্থক্য কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে, গত জানুয়ারিতে প্রথম দফায় কর্মরত সব কর্মীর বেতন বাড়িয়েছিল কেএসআরএম।
২৫ আগস্ট দ্বিতীয়বার বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে তা কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে। নিম্ন আয়ের (যাদের বেতন ২৫ হাজারের নিচে) প্রায় ৪ হাজার কর্মী এ সুবিধা পাবেন। এতে প্রতিমাসে কেএসআরএমের বাড়তি খরচ হবে প্রায় কোটি টাকা।
কেএসআরএম স্টিল প্ল্যান্ট লিমিটেডের কর্মকর্তা এসএম ইসমাইল বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেএসআরএমের কর্মপরিবেশ অত্যস্ত ভালো ও কর্মীবান্ধব। যে কোনও বিপর্যয়, দুর্যোগ ও দুঃসময়ে কেএসআরএম আমাদের পাশে থাকে। করোনা পরবর্তী বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই পরিস্থিতিতে বেতন বাড়নোর ঘোষণা আমাদের আয়-ব্যয়ের ঘাড়তি পূরণে সহায়তা করবে। পরিবারে আসবে আর্থিক স্বচ্ছলতা।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কেএসআরএম-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, ‘বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে স্বল্প আয়ের মানুষ বেশ বেকায়দায় আছেন। হঠাৎ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় জনজীবনে এর প্রভাব পড়েছে। অনেকের পক্ষে পরিস্থিতি সামলিয়ে চলা মুশকিল হয়ে পড়েছে। যদিও পরিস্থিতি সামলে নিতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। আমাদেরও যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসবে হবে। নিতে হবে পদক্ষেপ। কেএসআরএম সেই তাড়না থেকে নিম্নআয়ের কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকা শক্তি কর্মীদের প্রতি কেএসআরএমের উদার দৃষ্টিভঙ্গি আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।