তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আশা ও আনন্দের বিষয়, প্রধানমন্ত্রী তনয়া ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদ প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের চিকিৎসা, সেবা, শিক্ষা ও তাদের জীবন উন্নয়ন গবেষণায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে ভূমিকা নিয়েছেন, তার ফলে তারা আজ আর সমাজের বোঝা নন, বরং তাদের পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছেন।’
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকালে জাতিসংঘের ‘কনভেনশন অন দ্য রাইটস অব পারসনস উইথ ডিজ্যাবিলিটিস’ বিষয়ক কমিটির ২৭তম অধিবেশনের দ্বিতীয় ও শেষ দিনের বাংলাদেশ পর্যালোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জেনেভায় সফররত তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশে প্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি প্ল্যান অব অ্যাকশন (২০১৮-২০২৫) বাস্তবায়ন করছে।
প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকরা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অলিম্পিক গেমসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ও দেশের বিভিন্ন অঙ্গনে তারা বহু পুরস্কার অর্জন করে দেশ ও দশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।’
প্রতিবন্ধীদের মৌলিক চাহিদাপূরণ, কর্মসংস্থান, বিচারিক সুবিধা ও নির্যাতন থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সরকার তাদের মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করছে, জানান সম্প্রচারমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাতেও তাদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবন্ধীবান্ধব আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, ডিজ্যাবিলিটিস ডেটাবেজের মাধ্যমে তাদের ত্রাণ ও অন্যান্য সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া 'বৈষম্য প্রতিরোধ আইন ২০২২' এর একটি খসড়া জাতীয় সংসদের বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও অধিবেশনে উল্লেখ করেন ড. হাছান।
জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মো. মুস্তাফিজুর রহমান, সমাজকল্যাণ সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাতিসংঘে দেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মন্ত্রীর সাথে অধিবেশনে যোগ দেন।
শনিবার রওনা হয়ে রবিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে তথ্যমন্ত্রীর ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।