খবরের কাগজ, ছাপা কাগজ ও লিখিত কাগজে করে ঝালমুড়ি, ফুচকা, সমুচা, রোল, সিঙ্গারা, পেঁয়াজু, জিলাপি, পরোটা ইত্যাদি খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের কাগজে খাবার পরিবেশন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ নিয়ে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, ‘সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও পথ-খাবার ব্যবসায়ীসহ অনেক খাদ্য ব্যবসায়ী খবরের কাগজ, ছাপা কাগজ, লিখিত কাগজে করে ঝালমুড়ি, ফুচকা, সমুচা, রোল, সিঙ্গারা, পেঁয়াজু, জিলাপি, পরোটা ইত্যাদি পরিবেশন করছেন, যা নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, খবরের কাগজ, ছাপা কাগজ ও লিখিত কাগজে ব্যবহৃত কালিতে ক্ষতিকর রঙ, পিগমেন্ট ও প্রিজারভেটিভস থাকে— যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এছাড়া পুরনো কাগজে রোগ সৃষ্টিকারী অনুজীবও থাকে। খবরের কাগজ, ছাপা কাগজ ও লিখিত কাগজের ঠোঙায় বা এ ধরনের কাগজে মোড়ানো খাদ্য নিয়মিত খেলে, মানবদেহে ক্যানসার, হৃদরোগ ও কিডনি রোগসহ নানাবিধ রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
‘এমতাবস্থায়, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও পথ-খাবার ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ‘খাদ্য স্পর্শক প্রবিধানমালা, ২০১১’ অনুসরণ করে পরিষ্কার ও নিরাপদ ফুডগ্রেড পাত্র ব্যবহারের নির্দেশ প্রদান করা যাচ্ছে।’
শিশুদের স্কুল ও বিনোদনকেন্দ্রের আশেপাশে হরহামেশা এ ধরনের খাবার বিক্রি করতে দেখা যায়। স্বাস্থ্যের ক্ষতি চিন্তা না করে অভিভাবকরা শিশুদের এ ধরনের খাবার কিনেও দিচ্ছেন। আবার নোংরা পরিবেশে অস্বাস্থ্যকর এসব খাবারের বিক্রেতাদেরও কেউ নিষেধ করছে না, বা শাস্তির আওতায় আনা হয় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক (খাদ্যের বিশুদ্ধতা পরিবীক্ষণ ও বিচারিক কার্যক্রম বিভাগ) ড. সহদেব চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে শাস্তি দিয়েছি। যখন এভাবে খাবার পরিবেশন করা হয়, তখন আমরা ওই খাবার ধ্বংস করি। তবে এখনও ব্যাপকহারে আমাদের কাজ শুরু হয়নি।’