নাশকতা করে সরকার কিংবা পুলিশকে বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে ঠেকাতে ডিএমপি প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলা বা অন্য কোনও নাশকতার সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। তবে এসব বিষয়কে মাথায় রেখে সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যেকোনও ধরনের নাশকতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরর সামনে জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ডিএমপির সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
কমিশনার বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। তাই এই বছর ১৫ আগস্টে অন্যান্য যেকোনও বছরের তুলনায় জমায়েত বেশি হবে। সেটা চিন্তা করেই নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। যেন অতিরিক্ত জমায়েতের কারণে কোনও বিশৃঙ্খলা না হয়।
তিনি আরও বলেন, শোক দিবসের শুরুতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর সাধারণ জনগণ শ্রদ্ধা জানাবেন। এটা বিবেচনা করে দুই স্তরের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য একধরনের নিরাপত্তা এবং জনগণের জমায়েতের জন্য আরেক ধরনের নিরাপত্তা। মহাসড়কেও যানবাহন চলাচলের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন কোনও বিশৃঙ্খলা না হয়।
গোলাম ফারুক বলেন, দেশে জঙ্গি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়নি। কয়েক দিন আগেও সিলেটে নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেই দিক বিবেচনা করে কোনও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা না থাকলেও কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। ১২ তারিখ থেকে ব্লক রেইড চলছে। বিভিন্ন হোটেল, মেস এবং বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে যেন কোনও দুষ্কৃতকারী কোথাও আশ্রয় নিতে না পারে।