মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, সরকার জেন্ডার সমতা অর্জন, সব নারী ও মেয়েশিশুর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা সংক্রান্ত এসডিজি ৫ অর্জনে প্রাধান্য দিয়েছে। ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) গোল ৫— মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম, অগ্রগতি, তথ্য সংগ্রহ, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ করণীয় পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকায় ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) মো. আখতার হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা জেন্ডার সমতা অর্জন, সব নারী ও মেয়েশিশুর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা সংক্রান্ত এসডিজি ৫ অর্জনে প্রধান্য দিয়েছেন। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকলপনায় জেন্ডার সমতা সংক্রান্ত এসডিজি ৫ অন্তর্ভভুক্ত করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসডিজি গোল ৫ অর্জন করা। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা কৌশলগুলোর সঙ্গে এসডিজির সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতার মাধ্যমে এসডিজি অর্জিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ থেকে এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান ও রাষ্ট্র জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা নিশ্চিত, সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষ ভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনও নাগরিকের প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাবে না তা নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্র। বাংলাদেশ সিডো ১৯৭৯, সিআরসি ১৯৮৯, বেইজিং প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশন ১৯৯৪-সহ নারী ও শিশু উন্নয়নে সব ধরনের আন্তর্জাতিক সনদ অনুস্বাক্ষর করেছে ও তা বাস্তবায়ন করছে। সংবিধানের মাধ্যমে সব ধরনের বৈষম্যের অবসান করা হয়েছে এবং বৈষম্যমূলক কোনও আইন নেই। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে সরকারের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি সংস্থা ও সিভিল সোসাইটিকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন বলেন, ‘এসডিজি অর্থ মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন। যার ১৭টি গোল মানুষের কল্যাণের সব বিষয় নিশ্চিত করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ দেশ পরিচালনা এবং এসডিজির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, ‘এসডিজি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। সরকার এসডিজির সঙ্গে পঞ্চবার্ষিকী, দীর্ঘ, মধ্যম ও বার্ষিক পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করেছে। সব মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত কাজের মাধ্যমে ২০৩০ এসডিজির সব গোল অর্জিত হবে। জেন্ডার রেসপনসিভ বাজেট বাস্তবায়ন করতে হবে।’
কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি) মো. মনিরুল ইসলাম। টেকনিক্যাল সেশনে তিনটি বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। কর্মশালায় ২৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর সংস্থা, ইউএনপিএ ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
