X
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
২৬ বৈশাখ ১৪৩২

‘সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে সংসদীয় কার্যক্রমে একচ্ছত্র ক্ষমতার চর্চা হচ্ছে’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০২ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৪৪আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৪৪

একাদশ জাতীয় সংসদে সরকারি দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, প্রকৃত বিরোধী দল না থাকা এবং প্রধান বিরোধী দলের কার্যকর অংশগ্রহণের অভাবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ঘাটতি রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

‘পার্লামেন্টওয়াচ: একাদশ জাতীয় সংসদ, প্রথম থেকে ২২তম অধিবেশন (জানুয়ারি ২০১৯ থেকে এপ্রিল ২০২৩)’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে টিআইবি এ মন্তব্য করে।

টিআইবি বলছে, সরকারি দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে সংসদীয় কার্যক্রমে একচ্ছত্র ক্ষমতার চর্চা পরিলক্ষিত হয়েছে। জাতীয় সংসদের কাছে প্রত্যাশিত ভূমিকা নিশ্চিতে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে ১৩ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।

টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন জোটভুক্ত দল হিসেবে সংসদীয় কার্যক্রমে প্রধান বিরোধী দল দ্বৈত ভূমিকা পালন করেছে। সংসদকে কার্যকর করে তুলতে বিরোধী দলের শক্তিশালী ভূমিকা পালনে ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। সরকারি দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিপরীতে প্রধান বিরোধীদলের অবস্থান ছিল প্রান্তিক এবং সরকারকে জবাবদিহি করার ক্ষেত্রেও তাদের ভূমিকা ছিল সার্বিকভাবে গৌন। ক্ষেত্রবিশেষে প্রধান বিরোধী দলের সদস্যদের বক্তব্যে অন্যান্য বিরোধী দলের পর্যালোচনা ও সমালোচনা প্রাধান্য পেয়েছে, যা প্রধান বিরোধী দলের দ্বৈত ভূমিকা ও পরিচয়কে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।

সংসদীয় কার্যক্রমে বিষয়ভিত্তিক, প্রাসঙ্গিক ও গঠনমূলক আলোচনার পরিবর্তে সরকার ও দলীয় অর্জন ও প্রশংসা এবং প্রতিপক্ষ দলের প্রতি আক্রমণাত্মক সমালোচনা প্রাধান্য পেয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদে বিভিন্ন কার্যক্রমে ৭৪৪ ঘণ্টা ১৩ মিনিট সময় ব্যয় হয়েছে। যার মধ্যে জনপ্রতিনিধিত্ব ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম মোট সময়ের ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ বা ১৯০ ঘণ্টা ২৬ মিনিট। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা মোট সময়ের ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ বা ১৯১ ঘণ্টা ২৩ মিনিট।

বাজেট আলোচনায় ১৪২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট বা ১৯ দশমিক ২ শতাংশ, আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে ১২৪ ঘণ্টা ১৮ মিনিট বা ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং কিছু বিশেষ কার্যক্রমে ৯ ঘণ্টা ১৭ মিনিট এক দশমিক ২ শতাংশ সময় ব্যয় হয়েছে। রাষ্ট্রপতির ভাষণে প্রায় চার-পঞ্চমাংশ সময় সরকারের অর্জনবিষয়ক আলোচনাই প্রাধান্য পেয়েছে। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনায় সরকারদলীয় সদস্যরা সবোর্চ্চ সময় ব্যয় করেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা এবং সরকারের বিভিন্ন অর্জনের প্রশংসায়। 

একইভাবে, প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ প্রশ্নকর্তা প্রশ্নের বাইরে অন্যান্য আলোচনা অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা, দলের প্রশংসা, অন্য দলের সমালোচনা ইত্যাদি করেন, যা প্রশ্ন উত্থাপনে মোট ব্যয়িত সময়ের প্রায় ৮০ শতাংশ। একইভাবে, মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর পর্বে ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রশ্নকর্তা প্রশ্নের বাইরে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা, দলের প্রশংসা, অন্য দলের সমালোচনা করেন। যা প্রশ্ন উত্থাপনে মোট ব্যয়িত সময়ের প্রায় ৬৫ শতাংশ।

অন্যদিকে উত্তর প্রদানের প্রায় ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ ব্যয় হয়েছে উত্তরবহির্ভূত আলোচনায়। একইভাবে, সাধারণ আলোচনায় এককভাবে বঙ্গবন্ধু সংশ্লিষ্ট আলোচনায়ই প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি সময় ব্যয়িত হয়েছে। যা শতাংশের হিসাবে ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ। বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করতে গিয়ে সদস্যরা আত্মপ্রশংসা ও অন্য দলের সমালোচনায় ব্যয় করেন প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময়।

পাশাপাশি, জনপ্রতিনিধিত্বমূলক কার্যক্রমগুলোয় তুলনামূলক কম গুরুত্ব প্রদান বা কার্যক্রম স্থগিত রাখা, চলমান জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অনালোচিত থাকা ইত্যাদি করা হয়েছে এবং সার্বিকভাবে বিগত সংসদগুলোর চেয়ে (নবম ও দশম সংসদ) ব্যয়িত সময় ও অংশগ্রহণের হার হ্রাস পেয়েছে। আইন প্রণয়ন বা বিল পাসের ক্ষেত্রে পূর্বের সংসদগুলোর চেয়ে গড় সময় বাড়লেও সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও গঠনমূলক বিতর্কের ঘাটতি সুস্পষ্ট ছিল। আইন প্রণয়নে সরকারি দলের অধিকাংশ সদস্যের অংশগ্রহণ শুধু বিলের পক্ষে ভোট দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে ব্যয়িত সময় প্রায় ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ২০১৯-২০-এ যুক্তরাজ্যে এই হার ছিল প্রায় ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ২০১৮-১৯-এ ভারতের ১৭তম লোকসভায় এই হার ছিল ৪৫ শতাংশ।

বাজেট কার্যক্রমে ব্যয়িত সময়ের ৮০ দশমিক ১ শতাংশ সময় ব্যয় হয় বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায়। ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ সময় ব্যয় হয় মঞ্জুরি দাবির ওপর আলোচনায় এবং ৪ দশমিক ১ শতাংশ সময় ব্যয় হয় বাজেট উপস্থাপনে। বাজেট আলোচনায় ব্যয়িত সময়ের ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ সময় ব্যয় হয় বাজেট সংক্রান্ত আলোচনায় এবং বাকি সময় ব্যয় হয় অন্যান্য আলোচনা, দলের প্রশংসা এবং অন্য দলের সমালোচনায়।

গবেষণায় দেখা যায়, সংসদীয় কার্যক্রমে সদস্যদের অনুপস্থিতি, যথাযথ গুরুত্বসহকারে অংশগ্রহণ না করা, প্রতিপক্ষের মতামত প্রকাশে বিঘ্ন ঘটানো ও মতামত গ্রহণ না করার প্রবণতার কারণে কার্যক্রমগুলোর কার্যকারিতা হ্রাস পেয়েছে। স্থায়ী কমিটিগুলোর নিয়মিত বৈঠকের ঘাটতি বিশেষত, দেশের জরুরি পরিস্থিতিতেও সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলোর বৈঠক করার প্রতি গুরুত্বহীনতাও পরিলক্ষিত হয়েছে। বিধি অনুযায়ী প্রতিটি কমিটির প্রতি মাসে ন্যূনতম একটি করে সভা করার নিয়ম থাকলেও কোনও কমিটিই সে নিয়ম পালন করেনি। নূন্যতম নির্ধারিত সভা সংখ্যার ৬৬ দশমিক ১ শতাংশ সভাই অনুষ্ঠিত হয়নি।

করোনাকালে (মার্চ ২০২০-আগস্ট ২০২১) একটিও সভা করেনি অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। করোনাকালে প্রথম ১৮ মাসের ১৩ মাসই কোনও সভা করেনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এ ছাড়া সংসদে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে গৃহীত পদক্ষেপ, অর্জিত লক্ষ্য, চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে সুনির্দিষ্ট আলোচনার ঘাটতি ছিল। পাশাপাশি সংসদ সদস্যদের একে অপরের প্রতি এবং সার্বিকভাবে সুশীল সমাজের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে বিধিবহির্ভূত আচরণ লক্ষ করা যায়।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কোনও কোনও নারী সদস্যদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ও আপত্তিকর শব্দের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। বিরোধী দলের তুলনায় সরকারি দলের সদস্যদের ক্ষেত্রে এই ব্যত্যয় অধিক মাত্রায় পরিলক্ষিত হয়েছে। সদস্যদের অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার বন্ধে সদস্যদের সতর্ক করা বা শব্দ এক্সপাঞ্জ করার ক্ষেত্রে স্পিকারকে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া সংসদে ও কমিটিতে সদস্যদের উপস্থিতি, সংসদীয় কার্যক্রমের বিবরণী, সংসদ সদস্যদের সম্পদের হালনাগাদ তথ্য, সংসদীয় কার্যক্রমের কার্যবিবরণী ইত্যাদি স্বপ্রণোদিতভাবে উন্মুক্ত করার উদ্যোগেরও ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, কোরাম সংকটে ৫৪ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট ব্যয় হয়, যা সংসদ কার্যক্রমের মোট ব্যয়িত সময়ের ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। কার্যদিবস প্রতি গড়ে ১৪ মিনিট ৮ সেকেন্ড ব্যয় হয়। ৮৪ শতাংশ কার্যদিবসে নিধার্রিত সময় থেকে বিলম্বে অধিবেশন শুরু হয় এবং শতভাগ কার্যদিবসে বিরতির পর নিধার্রিত সময় থেকে বিলম্বে অধিবেশন শুরু হয়। সংসদ পরিচালনার প্রতি মিনিটের গড় অর্থমূল্য প্রায় দুই লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪ টাকা। এই হিসাবে কোরাম সংকটে ব্যয়িত সময়ের প্রাক্কলিত অর্থমূল্য প্রায় ৮৯ কোটি ২৮ লাখ ৮ হাজার ৭৭৯ টাকা।

উল্লেখ্য, গবেষণায় গুণবাচক ও পরিমাণবাচক উভয় ধরনের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে টিআইবি জানিয়েছে। সরাসরি সম্প্রচারিত সংসদ কার্যক্রমের রেকর্ড এবং মুখ্য তথ্যদাতাদের (সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা এবং গবেষক) সাক্ষাৎকার গ্রহণ, সংসদ কর্তৃক প্রকাশিত অধিবেশনের সংক্ষিপ্ত কার্যবিবরণী ও কমিটি প্রতিবেদন, সরকারি গেজেট, প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন, বই ও প্রবন্ধ এবং সংবাদপত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে, জানুয়ারি ২০১৯ থেকে এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রথম থেকে ২২তম সংসদ অধিবেশনের প্রায় ৭৪৪ ঘণ্টা রেকর্ডিংয়ের অনুলিপি ও নথিপত্র থেকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশক ও বিষয়বস্তুভিত্তিক ডাটাবেজ প্রস্তুত করে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রণয়ন করেছে টিআইবি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতীয় সংসদে প্রকৃত বিরোধী দলের অভাব, প্রধান বিরোধী দলের ‘আত্মপরিচয়ের সংকট’ এবং এর সঙ্গে সরকারি দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও একচ্ছত্র ভূমিকার কারণে জাতীয় সংসদ জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।

তিনি বলেন, সংসদের মূল ভূমিকা আইন প্রণয়ন, জনগণের প্রতিনিধিত্ব ও জনগণের পক্ষে সরকারের জবাদিহি নিশ্চিত করা। আনুষ্ঠানিকভাবে এ ভূমিকা পালনের সুযোগ থাকলেও, বাস্তবে ব্যাপক ঘাটতি উঠে এসেছে গবেষণায়। আমরা দেখতে পাচ্ছি, একাদশ জাতীয় সংসদে একটি আইন পাস হতে আন্তর্জাতিক চর্চার অনেক কম সময় লেগেছে। আইন প্রণয়নে কম সময় দেওয়ার অর্থ হচ্ছে চুলচেরা বিশ্লেষণে ঘাটতি রয়ে গেছে। বিশেষ করে আইন কতটুকু জনকল্যাণমুখী হলো, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থেকে সাইবার নিরাপত্তা আইনের রূপান্তর যার প্রকট উদাহরণ। 

অন্যদিকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কার্যক্রমে ব্যাপক দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। সংসদ কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী প্রতি মাসে একটি বৈঠক করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও, সব কমিটি তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রশ্নোত্তরে ও বাজেট আলোচনার বিষয়বস্তুর বাইরে অপ্রাসঙ্গিকভাবে সরকারি সাফল্য ও প্রশংসা এবং প্রতিপক্ষের সমালোচনায় সংসদের সময় ব্যয় হয়েছে কিন্তু জবাবদিহির উপাদান অনুপস্থিত থেকেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা হলেও, এ বিষয়ে জবাবদিহি বা কার্যকর কোনও পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও সংসদের প্রত্যাশিত ভূমিকা নিশ্চিতের জন্য সংসদকে কার্যকর ও জনপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের বিষয়ে জোর দিয়ে এই পরিচালক বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে জনমনে উদ্বেগ রয়েছে। কার্যকর সংসদ ও জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, সরকার ও অন্যান্য অংশীজন যেমন—রাজনৈতিক দল, আইনশৃখলা বাহিনী ও প্রশাসনসহ সবাইকে স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত থেকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

জাতীয় সংসদের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন নিশ্চিতে ১৩ দফা সুপারিশ করেছে টিআইবি। এর মধ্যে রয়েছে—জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাস্তবিক অর্থে অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা ও বিরোধী দলের শক্তিশালী ভূমিকা পালন নিশ্চিত করা; সদস্যদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের জন্য সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা; সরকারি দলের একচ্ছত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার পরিবর্তে বিরোধী দলের কার্যকর অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করা; সংসদ সদস্যদের আচরণ ও কার্যক্রম সম্পর্কে আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা অনুসারে ‘সংসদ সদস্য আচরণ আইন’ প্রণয়ন করা; সংসদে অধিকতর শৃঙ্খলা রক্ষাসহ অসংসদীয় ভাষার ব্যবহার বন্ধে স্পিকারকে জোরালো ভূমিকা নেওয়া; অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা এবং অহেতুক প্রশংসা ও সমালোচনা না করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে কার্যকর অংশগ্রহণ ও ফলপ্রসূ আলোচনা নিশ্চিত করতে দলীয় প্রধান ও হুইপের জোরালো ভূমিকা পালন করা ইত্যাদি।

গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান। প্রতিবেদনটি উপস্থাপনা করেন টিআইবির রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট রাবেয়া আক্তার কনিকা এবং মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান সাখিদার।

/জেইউ/এনএআর/
সম্পর্কিত
‘স্বাধীন সাংবাদিকতায় আজও বৈরী পরিবেশে টিকে থাকার লড়াই চলছে’
‘প্রতিবন্ধী নাগরিকদের সুরক্ষায় আইনি কাঠামো হলেও বাস্তবে প্রতিফলন ঘটেনি’
সংসদীয় আসন সংখ্যা ৬০০ করার সুপারিশ নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের
সর্বশেষ খবর
বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার
বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার
কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
উদ্বিগ্ন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের ভারত ছেড়ে দেশে ফেরার তোড়জোড়
উদ্বিগ্ন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের ভারত ছেড়ে দেশে ফেরার তোড়জোড়
সরকার আ.লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে: প্রেস উইং
সরকার আ.লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে: প্রেস উইং
সর্বাধিক পঠিত
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম
‘সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগে জড়িতদের শাস্তি দিতে না পারলে আমি চলে যাবো’
‘সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগে জড়িতদের শাস্তি দিতে না পারলে আমি চলে যাবো’
নৌ পুলিশের অভিযানে ২৭৬ জন গ্রেফতার, ১০ মরদেহ উদ্ধার
নৌ পুলিশের অভিযানে ২৭৬ জন গ্রেফতার, ১০ মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে পদত্যাগ করলেন স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে পদত্যাগ করলেন স্নিগ্ধ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে ৫৬ জনের পদত্যাগ, তুলেছেন দুর্নীতির অভিযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে ৫৬ জনের পদত্যাগ, তুলেছেন দুর্নীতির অভিযোগ