X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফটোকপি দোকানের কর্মচারী, জেলে, রাজমিস্ত্রি তৈরি করতো জাল টাকা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ মার্চ ২০২৪, ২১:০৩আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৪, ২১:০৩

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার চরমোহন এলাকার রতন ব্যাপারীর ছেলে আরিফ ব্যাপারী (২০)। পেশায় ফটোকপি দোকানের কর্মচারী আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নিজের আয়ের টাকায় জাল টাকা তৈরির বিভিন্ন মেশিনারি কেনে। এরপর রাজমিস্ত্রি অনিক ও পদ্মা নদীর জেলে জাহিদকে নিয়ে শুরু করে জাল টাকা তৈরির চেষ্টা। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় জাল টাকা তৈরি করতে সক্ষমও হয় তারা। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে কম দামে জাল টাকা বিক্রির পোস্ট দিয়ে সংগ্রহ করছিল ক্রেতা।

এভাবে গত এক বছর ধরে অনলাইনে জাল টাকা বিক্রির অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। তারা বলছে, রমজান ও ঈদুল ফিতরকে টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিল চক্রটি। সম্প্রতি প্রায় ১৩ লাখ জাল টাকার অর্ডার সরবরাহের সূত্র ধরে এই চক্রটিকে গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার (২৭ মার্চ) শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার চরমোহনসহ আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার সমপরিমাণ জাল নোট ও জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৪ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দনেএসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, নড়িয়া থানার ঘড়িষাড় ইউনিয়নের বাংলা বাজারে একটি কম্পিউটার দোকানে কাজ করতো আরিফ। সে ইউটিউব থেকে জালটাকা বানানোর প্রক্রিয়া দেখে এবং নিজের কম্পিউটার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে জাল নোট তৈরি শুরু করে। আরিফ জাল টাকা ছড়িয়ে দিতে জাহিদ ও অনিককে সহযোগী হিসেবে নেয়। এরপর তারা মিলে জাল টাকা ছাপানোর কাজ শুরু করে। তাদের তৈরি করা টাকা অনলাইনের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে বিক্রির পোস্ট দিতো। এই পোস্ট বুস্টিংয়ের মাধ্যমে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতা সংগ্রহ করতো।

ঈদুল ফিতরকে টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ জাল নোট বাজারে সরবরাহের করার প্রস্তুতি নিয়েছিল চক্রটি। তারা প্রতি ১ লাখ টাকা মূল্যমানের জাল নোট ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করতো। ঈদ উপলক্ষে জাল নোটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে তারা প্রতি ১ লাখ টাকার জাল নোট ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীর বাংলাবাজারের বিভিন্ন প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করা অনেক লোক শরীয়তপুর জেলার। ফলে আরিফের পরিচিতদের সূত্র ধরে সে বিভিন্ন সময় বাংলাবাজারে এসে অবস্থান করে প্রিন্টিং সম্পর্কে ধারনা লাভ করে। এরপর জাল টাকা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেমন রং, কালি ও কাগজ পুরান ঢাকা থেকে কিনে নেয়। ছাপানোর পর ভুয়া আইডি খুলে ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো প্রভৃতি অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ও সরাসরি সাক্ষাতের মাধ্যমে জালটাকা ডেলিভারির কাজ করে থাকে।

এ চক্রটি বিভিন্ন সময় জাল টাকার বড় ধরনের একাধিক চালান ডেলিভারি দিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। তারা রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, শরীয়তপুর ও ফরিদপুর এলাকায় জালনোট সরবরাহ করতো বলে স্বীকার করেছে।

/কেএইচ/এফএস/
সম্পর্কিত
লাল কৃষ্ণচূড়া, বেগুনি জারুলে ছুঁয়ে যায় তপ্ত হৃদয়
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
সর্বশেষ খবর
উন্নয়নের নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০০ গাছ কাটার পরিকল্পনা 
উন্নয়নের নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০০ গাছ কাটার পরিকল্পনা 
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন: বিচারের অপেক্ষায় এক দশক পার
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন: বিচারের অপেক্ষায় এক দশক পার
জাতীয় পার্টির (কাদের) বর্ধিত সভা শুরু
জাতীয় পার্টির (কাদের) বর্ধিত সভা শুরু
লোহিত সাগরে আরেক তেলবাহী জাহাজে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
লোহিত সাগরে আরেক তেলবাহী জাহাজে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!