ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ভবনের কার পার্কিংয়ে কোনও দোকান বা বাজার থাকতে পারবে না—এটি হচ্ছে আরেকটি মরণফাঁদ। আমরা কেউ মরণফাঁদ দেখতে চাই না।
শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘অগ্নি প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা: আমাদের সম্প্রদায়কে রক্ষা করা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক তিনি এসব কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক কমার্শিয়াল বিল্ডিংয়ের নিচে দেখেছি কার পার্কিং। ভবনের কার পার্কিংয়ে কোনও শপিং মল বা বাজার থাকতে পারবে না। এটি হচ্ছে আরেকটি মরণফাঁদ।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং মলে যদি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে—সেক্ষেত্রে কারও দ্রুত সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ধোঁয়ায় বেশিরভাগ মানুষ মারা যাবে। মরণফাঁদ আমরা কেউ দেখতে চাই না।’
ঈদের বার্তায় নগরবাসীকে উদ্দেশ করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার সময় বা স্কুল, অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানের যেসব স্থানে মশার প্রজনন হবে, যেমন- বাথরুমের কমোড, ফুলের টব অবশ্যই ঢেকে রেখে যেতে হবে। এছাড়া ভবনের ফুলের টব বা রঙের খালি কৌটা যদি থাকে, এগুলো ঢেকে যেতে হবে। না হলে এসব স্থানে এডিস মশার প্রজনন হবে। স্বাস্থ্য নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে প্রত্যেকের বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যেসব স্থানে স্বচ্ছ পানি জমে, সেটা যাতে না হয়, সেজন্য সবাইকে বিশেষ নজর দিতে হবে।’
শহরকে বাঁচাতে দখল এবং দূষণ রোধে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘এসবের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। সবার সমন্বয়ে একটা গাইডলাইন তৈরির মাধ্যমে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনা সম্ভব।’