আলোচিত চিত্রনায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে করা এক প্রতারণার মামলায় আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলার প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত পরবর্তী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন করে এই তারিখ ধার্য করেন।
মামলায় অনন্ত জলিল ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন— জাহানারা বেগম, অনন্ত জলিলের কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে কর্মরত মো. শরীফ হোসাইন, সাকিবুল ইসলাম, মিলন ও শহিদুল ইসলাম।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে বাদীর কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেন। এরপর বাদী কাজ শুরু করে কাজের বিপরীতে প্রতিশ্রুত টাকা চাইলে আসামিরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান। পরবর্তীসময়ে তারা আরও বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন।
আরও জানা যায়, ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত বাদী সবগুলো কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন। এরপর গত বছরের ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আসামিরা বাদীর একটি এলসি করেন। পরে বাদী টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য টাকা উঠাতে ব্যর্থ হন। আরও বলা হয়, বাদী চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানিটি কোনও টাকা পরিশোধ করেনি, যার পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ২০০ ডলার।