বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজারের টেকসই উন্নয়নের জন্য শ্রমিকদের কারিগরি ও ভাষা দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলো এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।’
রবিবার (৭ জুলাই) বিকালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিজয়-৭১ হলে দক্ষিণ কোরিয়াগামী ইপিএস কর্মীদের কোরিয়ান ভাষা প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, দক্ষ জনশক্তি বিদেশে পাঠাতে হবে এবং বৈধ পথে তাদের অর্জিত রেমিট্যান্স দেশে পাঠাতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। আমাদের কর্মীরা বিভিন্ন কারিগরী জ্ঞান ও ভাষার ওপর দক্ষতা অর্জন করছে।’
এ সময় মালদ্বীপগামী কয়েকজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা এককেক জন দেশের প্রতিনিধি, বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর। আপনাদের কাজ, চলাফেরা, ব্যবহারে দেশের সুনাম হবে। আপনাদের আনুসরণ করে দেশে থেকে আরও ডাক্তার বিভিন্ন দেশে যেতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যারা বিদেশ যেতে চায়, তাদের জন্য আপনারা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবেন। আপনারা তাদের উদ্বুদ্ধ করবেন, যাতে সবাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে বিদেশ যান।’
সভায় জানানো হয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, দুই দেশের দূতাবাস ও এইচআরডি কোরিয়ার সহযোগিতায় এবং নিয়োগকর্তার চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) দ্রুত কর্মী পাঠানোতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়ায় অধিক সংখ্যক কর্মী পাঠানো গেছে। গত দুই বছরে ১০ হাজার ৬৯৫ জন ইপিএস কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন। এতে বাংলাদেশ ২০২৩ সালে ১০ হাজার এবং ২০২৪ সালে ১১ হাজার ৫০০ জন কর্মী পাঠানোর কোটা লাভ করে। ২০০৮ সাল থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত মোট ৩৪ হাজার ৬৯ জন ইপিএস কর্মী সফলভাবে দক্ষিণ কোরিয়া গেছেন। এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানায় বোয়েসেল।
এ সময় আরও ছিলেন– বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, ওয়েস আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, কোরিয়ার ডিরেক্টর এইচআরডি কিম ডং চ্যানসহ অন্যরা।