বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ গত ১২ বছরে ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় পিএসসির উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ৬ জনের রিমান্ড বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২১ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ৬ আসামির উপস্থিতিতে রিমান্ড বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করেননি কারা কর্তৃপক্ষ। এজন্য রিমান্ড বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২১ জুলাই তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
আসামিদের পক্ষের আইনজীবী গোলাম মওলা এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১১ জুলাই মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা ৬ আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। ওইদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত ১৬ জুলাই আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
যাদের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন— সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম ও ডিডি আবু জাফর।
গত ৯ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জুয়েল চাকমা ১৭ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এর মধ্যে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সাইম হোসেন এবং লিটন সরকারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আর বাকি ১০ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। পরে আবু সোলায়মান মো. সোহেল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর ৬ আসামিকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। আর এই মামলার ১০ আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরও কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ৮ জুলাই রাজধানীর পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে সিআইডির উপপরিদর্শক নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের আসামির নাম উল্লেখ করে অর্ধশতাধিক অজ্ঞাতনামে আসামি করা হয়েছে।