ঢাকা জেলা থেকে রেজিস্ট্রেশন পাওয়া সিএনজি অটোরিকশাগুলো ঢাকা মেট্রো এলাকায় বিনা বাধায় চালানোসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটি। বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঢাকা জেলা থেকে রেজিস্ট্রেশন পাওয়া সিএনজি অটোরিকশাগুলো জেলার মধ্যে চলাচল করতে নানা কারণে সমস্যায় পড়ছে। ঢাকা জেলার মধ্যে মহানগরটি অবস্থান করায় জেলাটি কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। জেলার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হলে মহানগরের সড়ক ব্যবহার করতে হয় বলে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।
তারা বলেন, ২০১৭ সালে ঢাকা জেলা থেকে মহানগরীর আশেপাশের ১৬টি ইউনিয়ন কেটে নিয়ে ২৬টি নতুন ওয়ার্ড গঠন করা হয়। এতে ঢাকা মহানগর ১২৯ বর্গ কিলোমিটার থেকে নতুন ১৪১ বর্গ কিলোমিটার যোগ হয়ে বর্তমানে মোট ২৭০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন হয়েছে। যে কারণে জেলা আরও সংকুচিত হয়েছে। আমাদের যে জায়গা দেখিয়ে সরকার রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে, সেই জায়গা কেটে মহানগর বৃদ্ধি করা হলো। আমাদের কোনও ব্যবস্থা সরকার করে নাই। আমরা এই বৈষম্য থেকে মুক্তি চাই।’
তাদের তিন দফা দাবিগুলো হলো– ঢাকা জেলা থেকে রেজিস্ট্রেশন পাওয়া সিএনজি অটোরিকশার চালকরা যেন বিনা বাধায় মহানগরের রাস্তা ব্যবহার করতে পারে; মহানগরীতে চলাচলের আবেদনটি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীতে চলাচল করা ওই সব গাড়ি ট্রাফিক সার্জেন্টকে রেকারিং, ডাম্পিং, রোড পারমিটের মামলা না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া এবং ঢাকা জেলার ওপর দিয়ে যে সব হাইওয়ে রাস্তা আছে, সেগুলো অথবা হাইওয়ের পাশ দিয়ে বাই লেন তৈরি করে সিএনজি অটোরিকশাসহ ধীরগতির বাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা।
এদিকে দাবি বহাল রাখতে সড়ক অবরোধ করেন মালিক ও শ্রমিকরা। রাজধানীর তোপখানা রোডে সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেট সংলগ্ন সড়কে দুপুর দেড়টার দিকে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সড়ক বিভাগের উপদেষ্টা বরাবর তিন দফা স্মারকলিপি দিয়েও কোনও প্রতিকার না পেয়ে সচিবালয়ে এসেছেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা। তারা সচিবালয়ের সামনের সড়কে ঢুকতে চাইলে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। এতে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ।