অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বিভিন্ন কমিশন গঠন হলেও কোনও শিক্ষা কমিশন গঠন হয়নি, যা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি সরকারের সময়কার সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এডুকেশন টাইমস ও ফাউন্ডেশন অব এডুকেশনাল ট্রান্সফারেন্সি (এফইটি) আয়োজিত 'কোন পথে শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষাক্রম সংস্কার' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
এহসানুল হক মিলন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বিভিন্ন কমিশন গঠিত হলেও কোনো শিক্ষা কমিশন গঠন হয়নি, যা দুঃখজনক। অথচ আমরা একটি পার্মানেন্ট শিক্ষা কমিশন আশা করেছিলাম। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকবার শিক্ষা কমিশন গঠন করা হলেও তা যথাযথ সুফল বয়ে আনতে পারেনি। আমরা চাই এই দফায় একটি শিক্ষা কমিশন গঠন হবে। যারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে শিক্ষা সংস্কারে কাজ করবে।
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষা খাতকে ঢেলে সাজানোর মতো শিক্ষক রয়েছেন, কিন্তু সে শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। একটা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বেতন সাকল্যে ১৭ হাজার টাকা, বর্তমান বাজারে এই টাকায় চলা খুবই কঠিন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। পাশের দেশ শিক্ষার হাব তৈরি করেছে, আমাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে পড়তে যাচ্ছে। এতে দেশের ফরেন কারেন্সিও নষ্ট হচ্ছে।
এফইটির জেনারেল সেক্রেটারি শরীফ মোহাম্মদ সফিকুল আলমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা, সেইভ দ্য চিলড্রেনের ডিরেক্টর (এডুকেশন প্রোগ্রাম) মেহেরুন্নিসা স্বপ্না প্রমুখ।