বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম ও তার বন্ধু সৌভিক করিমকে স্মরণ করেছেন তার বন্ধু, সহকর্মী, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধু-স্বজনরা।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সেমিনার কক্ষে এ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ‘চিরবন্ধু তরুণ আরিফ-অর্জুন’ নামে গ্রন্থ উন্মোচন করা হয়।
গত বছর ৭ নভেম্বর রাতে ঢাকার ইস্কাটনে ট্রাকচাপায় প্রাণ হারান আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিম অর্জুন। দুজনেই সদ্য চল্লিশ পেরিয়েছিলেন।
গ্রন্থ উন্মোচন করেন রেহনুমা আহমেদ, শহীদুল আলম, জোনায়েদ সাকি, আবুল হাসান রুবেল এবং আরিফ ও অর্জুনের পরিবারের সদস্যরা। এ দুজনের জীবন ও কর্ম নিয়ে বক্তব্য রাখেন তাসলিমা আখতার এবং বীথি ঘোষ।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আরিফ-অর্জুনের বন্ধু শিল্পী শায়ান, প্রবর রিপন, মুয়িজ মাহফুজ, এবং শরিফুল ইসলাম।
তাসলিমা আখতার বলেন, “আরিফ ও অর্জুনের অকাল প্রয়াণ তাদের সহযোদ্ধাদের ব্যথিত করার পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার লড়াইয়ে শামিল হওয়ার প্রেরণা জোগাবে।”
অকালে হারানো এই দুটি প্রাণ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ব্যর্থতাগুলোকে নতুন করে আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি আগামীতে প্রকৃতপক্ষেই সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এমন একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রামের আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ছাত্রজীবনে আরিফুল ইসলাম কেন্দ্রীয় সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ছাত্রজীবন শেষে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যোগ দেন তিনি। তিনি দলটির অন্যতম সংগঠক ছিলেন। পেশাজীবনে আরিফুল ইসলাম সৃজনশীল প্রকাশনা শিল্পে নিয়োজিত ছিলেন।
সৌভিক করিম (অর্জুন) ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্রজীবন শেষে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি সংগীত চর্চা ও গবেষণা করতেন।