তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্ব ও সংঘাত নিরসনের বদলে মাওলানা মামুনুল হক তা আরও উসকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তাবলিগ জামাতের সাদপন্থি আলেম-ওলামারা।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে এক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা। ‘দেশব্যাপী তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ অনুসারীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন হামলা-মামলা, শীর্ষ মুরুব্বিদের ওপর মিথ্যা মামলা ও কারাবন্দি মজলুম আলেমে দ্বীন মুফতী মুআজ বিন নুরের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে’ তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের সাধারণ সাথী এবং উলামায়ে কেরামের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
‘সাদপন্থিরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের নিষিদ্ধ করা হোক। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মামুনুল হক। এ বিষয়ে তাবলিগ জামাতের নিজামউদ্দিন অনুসারী শফিক বিন নাঈম বলেন, ‘মামুনুল হক তো তাবলিগের কেউ না। তিনি মুসলমানদের মধ্যে একজন যোগ্য লোক, ইসলামের জন্য তার পরিবার অনেক কিছু করেছে। তিনি দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের সমাধান করলেন না। কিন্তু তিনি আগুনের মধ্যে পানি না ঢেলে কেরোসিন ঢেলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘মূল মারকাজ থেকে আলাদা হয়ে দু-একজন আরেকটা মাদ্রাসা তৈরির চেষ্টা করছে। আমাদের ভারতপন্থি বলা হয়। তাহলে যুবায়েরপন্থিরা ডাবল ভারতপন্থি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রসাশনের কাছে খবর ছিল, যুবায়েরপন্থিরা অস্ত্রসহ অবস্থান করছে। ২০১৬ সাল থেকে আমাদের ১০ জন সাথী নিহত হয়েছেন। হাজার হাজার সাথী আহত হয়েছেন। আমাদের নিজামুদ্দিন অনুসারীদের ঘরে ঘরে হামলা হচ্ছে। দোকানপাটে লুট হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো–
আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা; অনুসারী সব মুরুব্বির নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা; কারাবন্দী আলিমে দ্বীন মুফতি মুয়াজ বিন নূরকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া; কাকরাইল মসজিদ, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতিমা ও সারা দেশে মসজিদভিত্তিক তাবলিগের কাজকে সমান অধিকারের ভিত্তিতে পরিচালনার পরিবেশ তৈরি করতে দেওয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন– মাওলানা মাসুদুল হক কাসেমী, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মঞ্জুরুল হক প্রমুখ।