সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে মামলার যে নির্দেশনা পুলিশকে দেওয়া হয়েছিল, সেই চিঠি প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের অবরোধে রাজধানীতে যানজট ও ভোগান্তি শুরু হওয়ার পর জেল-জরিমানার সিদ্ধান্ত বাতিল করে সংস্থাটি।
রবিবার বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্যাস/পেট্রোলচালিত ৪-স্ট্রোক থ্রি-হুইলার অটোরিকশার জন্য সরকার নির্ধারিত মিটারের ভাড়ার হারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে মামলা করার নির্দেশনা দেওয়া সংক্রান্ত আগের আদেশটি বাতিল করা হলো।
এর আগে, ১০ ফেব্রুয়ারি বিআরটিএ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ৩৫(৩) ধারা অনুযায়ী রুট পারমিটপ্রাপ্ত অটোরিকশাগুলো যেকোনও গন্তব্যে যাত্রী নিতে বাধ্য। চালকরা মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া দাবি বা আদায় করতে পারবেন না। যদি কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তবে আইনের ৮১ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ছয় মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এছাড়া, চালকের লাইসেন্স থেকে এক পয়েন্ট কেটে নেওয়ার বিধানও রাখা হয়েছিল।
বিআরটিএ আরও বলেছিল, সরকার নির্ধারিত মিটারভিত্তিক ভাড়ার বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের যেকোনও অভিযোগ আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট চালকের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিএর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন ক্ষুব্ধ সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। রবিবার সকাল থেকে রাজধানীর শনির আখড়া, ধোলাইপাড়, গোলাপবাগ, ডেমরা, বাসাবো, রামপুরা, কলেজগেট, আগারগাঁও, মিরপুর, মাজার রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় তারা সড়ক অবরোধ করেন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটের ফলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয় এবং সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। পরে বিআরটিএ নির্দেশনা প্রত্যাহার করলে চালকরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।