অর্থ বিভাগের সচিবের সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় সচিবের দফতরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অর্থ সচিবের কাছে ৪ দফা দাবি পেশ করেন পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
তাদের দাবিগুলো হলো— নতুন পে-কমিশন গঠনসহ কর্মচারীদের জন্য অবিলম্বে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতা কার্যকর করা এবং প্রস্তাবিত মহার্ঘ ভাতার পরিবর্তে মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি সমন্বয় করে বেতনের সঙ্গে কমপক্ষে ৫টি ইনক্রিমেন্ট হিসেবে জিও জারি করা।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মচারীদের জন্য সরকারি অন্যান্য বেসামরিক সংস্থার মতো উদাহরণ স্বরূপ দুদকের ন্যায় রেশন ব্যবস্থা বাস্তবায়নসহ ৩০ শতাংশ হারে সচিবালয় ভাতার জন্য দ্রুত আদেশ জারি করা। ২০১৫ সালের পে-কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী যথা সময়ে পদোন্নতি না হওয়ার কারণে অবিলম্বে পূর্বের ন্যায় টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটরদের জন্য দুটি উচ্চতর গ্রেড এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের জন্য দুটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট পূর্বের ন্যায় পুনর্বহাল করাসহ বর্তমানে ২০তম গ্রেডে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য প্রতি কর্ম দিবসে ৩০০ টাকা হারে টিফিন ভাতার ব্যবস্থা করা।
অর্থ সচিব নেতাদের পেশ করা দাবির যৌক্তিকতা অনুধাবন করেন এবং অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়নের ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্তি করেন।
এ সময় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— বেলাল হোসেন, মিজানুর রহমান, সোহরাব হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, রহমাতুল্লাহ বাবু, আব্দুল হামিদ, নুরুজ্জামান, কামরুল ইসলাম, মো. আরিফ, মো. ইসমাইল প্রমুখ।