পুরো বিশ্বে বায়ুদূষণে আজ শীর্ষ অবস্থানে আছে ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাই প্রতিষ্ঠান এয়ার ভিজুয়ালের বায়ুমান সূচক (একিউআই) অনুযায়ী শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বেলা পোনে ২টা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শীর্ষ অবস্থানে ছিল ঢাকা।
শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকার অবস্থান শীর্ষ ছিল। মাত্রা ছিল ২৪০, বেলা গড়িয়ে দুপুর নাগাদ এটির মাত্রা কমে গিয়ে দাঁড়ায় ১৯০। ঢাকার পর দ্বিতীয় অবস্থানে আছে উগান্ডার কাম্পালা এবং ভিয়েতনামের হেনয়, দুই অঞ্চলের বাতাসের দূষণের মাত্রা ১৭০, অন্যদিকে তৃতীয় অবস্থানে আছে লাহোর, সেখানকার দূষণের মাত্রা ছিল ২১১, অন্যদিকে তৃতীয় অবস্থান ভারতের দিল্লি, সেখানে বাতাসের মানমাত্রা আছে ১৬৯।
প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহ ধরেই দিনে কোনও না কোনও সময় বাতাসের দূষণে শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসছে ঢাকা।
একিউআই অনুযায়ী, বায়ুর মানমাত্রা শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে সেটিকে ভালো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি মধ্যম মানের বায়ু, ১০১ থেকে ১৫০ হলে বায়ুর মানে সাবধানতা বা সতর্কীকরণ করা হয়। বায়ুর মান ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে বায়ু খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১-এর বেশি হলে চরম অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সে হিসেবে আজকের মাত্রা অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, দূষণের মূল কারণ শুধু তাপমাত্রা নয়, রাস্তার যত্রতত্র চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এসব খোঁড়াখুঁড়ি করা হয় ঢেকে। আমাদের এসব কিছুই মানা হয় না। রাস্তায় খোঁড়া বালি, মাটি এসব বাতাসে মিশে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি ঈদকে সামনে রেখে ফিটনেসবিহীন যানবাহন আবার বেড়ে গেছে। এই দুইটি বড় কারণ বায়ু দূষণের জন্য দায়ী। এ ক্ষেত্রে সরকারের ধারাবাহিক কাজ করে যেতে হবে।