সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিষয়ে তদন্তে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলকে নির্দেশনা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
রবিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর ‘দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর’ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে ২০ অক্টোবর থেকে বিচারকাজে বিরত রাখা হয়। সেই ১২ বিচারপতির মধ্যে বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানও রয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ‘ইতোপূর্বে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো তথ্যাবলির নিরিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬(৫)(বি) অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের কাছে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।’
ওই ১২ বিচারপতির মধ্যে দুই জন অবসরে, একজন পদত্যাগ করেছেন, একজনকে অপসারণ, দুই জন মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিদায় নিয়েছেন। বাকি ছয় জনের মধ্যে বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা এলো।
বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহালের পর ৭ নভেম্বর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে বলে জানান সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
কোনও বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে এই কাউন্সিল যাচাই-বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ পাঠান। সংবিধান অনুসারে, প্রধান বিচারপতি ও জ্যেষ্ঠ দুই জন বিচারপতির সমন্বয়ে এ কাউন্সিল গঠিত হয়। এরপর কয়েকজন বিচারপতির আচরণের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে কাউন্সিল।