লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) লন্ডনের একটি স্থানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে এটিই প্রথম কোনও অনুষ্ঠান। একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশি এমপি, সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান, আওয়ামী লীগের আমলে একই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগদানকারী কমিউনিটির সাংবাদিক, যুক্তরাজ্য বিএনপি ও এর সহযোগী দলের সদস্য, যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী কজন বিএনপি ও সমমনা পেশাদার নেতা ছাড়া অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য কাউকে দেখা যায়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়োগ পাওয়া মুনা তাসনিমের বিতর্কিত প্রস্থানের পর নতুন হাইকমিশনারের আমলে এটিই ছিল প্রথম জনসাধারণের অনুষ্ঠান-স্তরের সমাবেশ। জানা গেছে, ১৭ বছর পর এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেতে লন্ডন হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অসংখ্য অনুরোধের প্রয়োজন হয়েছিল, যা অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের মতো। প্রায় শতাধিক ব্যক্তি ফেসবুকে তাদের ডিজিটাল আমন্ত্রণপত্র শেয়ার করেন।
একজন বিতর্কিত ব্যবসায়ী, যিনি ওয়ার্ক পারমিট ব্যবসা পরিচালনা এবং তার হোয়াইট চ্যাপেল ভিসা পরামর্শ প্রতিষ্ঠানে শেখ হাসিনার বিশাল ছবি প্রদর্শনের জন্য আলোচিত, তাকেও অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। অবশ্য শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করার পর রাতারাতিই তার ছবি সম্বলিত বিশাল সাইনবোর্ডটি সরিয়ে ফেলেন বিতর্কিত ওই ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশের ৫৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম ব্রিটিশ বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সাহায্য ও সমর্থন কামনা করেন।