রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ফেমডম সেশনের নামে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি প্রচারের অভিযোগে গ্রেফতার দুই নারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তারা হলেন– শিখা আক্তার ছদ্মনাম ফারহানা মিলি (২৫) ও সুইটি আক্তার জারা ছদ্মনাম মিস্ট্রেস জেরি (২৫)।
বৃহস্পতিবার (১ মে) শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল ওয়াহাবের আদালত। শুক্রবার (২ মে) আদালতের পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ওই দুই নারীকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক ইকবাল হোসেন কারাগারে রাখার আবেদন করেন। জামিনের পক্ষে শুনানি করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকালে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি-ব্লকের একটি বাসা থেকে ওই দুই জনেক গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে বিকৃত যৌনাচারে ব্যবহৃত একটি চাবুক, পরিধেয় বিশেষ পোশাক, হাই হিল, বুট জুতা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মামলার এজাহারে বাদী মো. আব্দুল্লাহ উল্লেখ করেন, বুধবার (৩০ এপ্রিল) ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্টে দেখেন, পুরুষদের উলঙ্গ করে শারীরিক নির্যাতন ও বিকৃত যৌনাচারের ভিডিও প্রচার করা হয়। এই কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তিরা টেলিগ্রাম ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। জড়িত নারীরা নিজেদের ‘মিসট্রেস’ হিসেবে পরিচয় দেয় এবং মিস্ট্রেসদের ‘ফেমডম সেশন’ যেসব পুরুষরা নিয়ে থাকে তাদের ‘স্লেভ’ বলে। পুরুষরা টাকার বিনিময়ে ওই নারীদের কাছে নির্যাতিত হতে আগ্রহী হয়, যা ‘ফেমডম সেশন’ নামে পরিচিত।
বাদী ফারজানা মিলি নামে একজনের সঙ্গে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করেন এবং তাদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৫০০ টাকা পাঠান। পরবর্তী সময়ে তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় যেতে বলা হয়। আব্দুল্লাহ ৩০ এপ্রিল সেখানে যান। গিয়ে দেখতে পান শিখা আক্তার ও সুইটি আক্তারসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন একজন পুরুষকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতন করছে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছে। এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ ভাটারা থানায় মামলা করেন।