বকেয়া বেতনের দাবিতে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে টিএনজেড গ্রুপের ডিরেক্টর শাহীনের বাসার সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করেছেন। তবে ১২ জুনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আবারও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল ৫টা থেকে শ্রমিকরা অবস্থান শুরু করেন। টানা ২৪ ঘণ্টার কর্মসূচির পর শুক্রবার (৬ জুন) বিকাল ৪টায় ঈদের কথা বিবেচনা করে ও জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
শ্রমিকদের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, মার্চ মাস থেকে বকেয়া বেতনের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছেন তারা। গত ২০ মে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির পর টিএনজেড কর্তৃপক্ষ ২৯ মে’র মধ্যে ৫ হাজার শ্রমিককে ৫৪ কোটি টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই তারিখে মাত্র ২২ কোটি টাকা পরিশোধ করে এবং পরে মাত্র ২৫০ জন শ্রমিক ও স্টাফকে সম্পূর্ণ বেতন দেওয়া হয়। বাকি প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক এখনও বকেয়া মজুরি থেকে বঞ্চিত।
ঈদের কারণে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত হলেও দাবি পূরণ না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিকে, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডের ৩০ নম্বর অ্যাপার্টমেন্টের সমিতির সভাপতি সাইফুর রহমান বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে মালিক পক্ষের প্রতারণার অভিযোগ এনে ডিরেক্টর শাহীনকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে কল্যাণ সমিতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
এই অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানান গার্মেন্ট শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, বাসদসহ (মার্ক্সবাদী) বিভিন্ন শ্রমিক, ছাত্র ও নাগরিক সংগঠনের নেতারা।