কৃষি ফার্ম শ্রমিকদের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড সুবিধা চালু করাসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন’। রবিবার (২৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার গবেষণা খামার বা বীজ উৎপাদন খামার, বীজ প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র, নার্সারি (ফলদ ও বনজ), হর্টিকালচার সেন্টার/ উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্র, ফল, সবজি, মাসরুম, অন্যান্য ফসল তথা কৃষি পণ্য উৎপাদন খামারে নিয়োজিত কৃষি ফার্ম শ্রমিকরা দীর্ঘ দিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গবেষণার কাজে সহায়তার পাশাপাশি মানসম্মত বীজ ও কৃষি পণ্য উৎপাদন করে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ও পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখে আসছে। কিন্তু কৃষি ফার্ম শ্রমিকদের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না।
কৃষি ফার্ম শ্রমিকরা শ্রম আইনের আওতাভুক্ত নয় বলে তারা শ্রম আইনে উল্লেখিত অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বর্তমানে ‘কৃষি ফার্ম শ্রমিক নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ২০১৭’ অনুযায়ী কৃষি ফার্ম শ্রমিকরা তাদের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো এই নীতিমালা অনুসরণ করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিএডিসিসহ কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান এই নীতিমালা অনুসরণ করছে না।
শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো–
১. বিএডিসি শ্রমিকসহ সব গবেষণা খামারে নিয়োজিত অনিয়মিত শ্রমিকদের ‘কৃষি ফার্ম শ্রমিক নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ২০১৭’ অনুযায়ী নিয়মিত কারার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করা।
২. উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও খাদ্য পণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উচ্চ মূল্যের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে নিয়মিত শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১ হাজার টাকা ও অনিয়মিত শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৯৫০ টাকা নির্ধারণ করা।
৩. নিয়োগ অবসানের প্রতি পূর্ণ বছর কার্যকালে জন্য ৩০ দিন হারে মজুরি প্রাপ্যতার পরিবর্তে ৬০ দিনে হারে মজুরি দেওয়া।
৪. প্রতি দুই বছর পর পর কৃষি ফার্ম শ্রমিকদের মজুরি ও অন্যান্য সুবিধাদি আন্তঃমন্ত্রণালয় স্টান্ডিং কমিটি ও বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশন আলোচনার মাধ্যমে পুননির্ধারণ করা।
মানববন্ধনে ছিলেন– ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক গোলাম ছরোয়ারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রমিকরা।