সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে স্কুলবাসে সন্তানদের দিতে চান অভিভাবকরা।
রাজধানীতে যানজট নিরসন ও জ্বালানি সাশ্রয়ে স্কুলবাস চালু করতে সম্প্রতি উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) এ লক্ষ্যে প্রাথমিক কর্মকৌশল নির্ধারণ সংক্রান্ত এক সভা গুলশান-২ নগর ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর চারটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অভিভাবকরা এতে অংশ নেন।
সভার শুরুতে মেয়র আতিকুল ইসলামের বক্তব্যের পর কীভাবে বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে স্কুলভিত্তিক বাস পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে তার ওপর একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন তুলে ধরা হয়।
শিক্ষার্থীদের জন্য আরামদায়ক বাস, নির্দিষ্ট স্থান থেকে শিক্ষার্থীদের বাসে তোলা ও স্কুলের গেটে নামানো, প্রশিক্ষিত চালক ও সহকারী নিয়োগ, অ্যাপের মাধ্যমে বাসে শিক্ষার্থীদের ওপর নজরদারি ও খরচ ইত্যাদি বিষয় সভায় তুলে ধরা হয়।
এসময় অভিভাবকরা বাসের ফিটনেস, চালক ও সহকারীর বৈশিষ্ট্য, স্কুলের সময়, যানজট, বাসে ওঠা-নামার সময় ও নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। তারা জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলেই তারা স্কুলবাসে সন্তানদের দিবেন।
মেয়র বলেন, 'আমি বিদেশে দেখেছি স্কুলের ১০০ গজের মধ্যে কোনও ব্যক্তিগত গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। কারণ স্কুলে সবাই সমান। আমার গাড়ি আছে ওর নাই— এমন চিন্তা যেন শিশুদের মধ্যে না আসে। আমরাই এটা করতে চাই।'
তিনি জানান, চারটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি পাইলট প্রকল্প গড়ে তোলা হবে এবং এটি সফলতা পেলে পরে সব মাধ্যমের স্কুলেই এ সার্ভিস চালু করা হবে।
তিনি বলেন, 'অনেক পরিবারে বাবা-মা দুজনেই চাকরিজীবী। তাদের যেন ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাওয়া-আসা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে না হয়— সেক্ষেত্রে নিরাপদ স্কুলবাসই চমৎকার সমাধান হবে। সময়, নিরাপত্তা ও খরচ সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই বাস সার্ভিসটি চালু করা হবে।'
বাস রুট নির্ধারণের বিষয়ে অভিভাবকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, 'সকল শিক্ষার্থীদের বাসার ঠিকানা অনুযায়ী বাস রুট নির্ধারণ করা হবে।'
সভায় অন্যান্যের সাথে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন, চিটাগং গ্রামার স্কুল, ঢাকা'র প্রিন্সিপাল আছিয়া আলম চৌধুরী, স্কলাস্টিকা স্কুল, মিরপুর শাখার প্রিন্সিপাল নুরুন নাহার মজুমদার, স্যার জন উইলসন স্কুলের প্রিন্সিপাল সাবরিনা শাহেদ ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়ালের প্রিন্সিপাল লুবনা চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।