X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

জট খুলছে কালশীর, উদ্বোধনের অপেক্ষায় নতুন ফ্লাইওভার

জুবায়ের আহমেদ
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:০৮আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১:১৬

রাজধানীর মিরপুর দিন দিন ব্যস্ত এলাকায় পরিণত হচ্ছে। ইতোমধ্যে নগরে সড়কের উন্নয়নের কারণে বিমানবন্দর, উত্তরা, বাড্ডা, গুলশান, বনানী এলাকার সঙ্গে মিরপুরের যোগাযোগ সহজ হয়েছে। আর এসব এলাকার সঙ্গে যোগাযোগের মূল মাধ্যম হলো কালশী রোড। তবে সড়ক উন্নয়নের পর যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কালশী রোডের মোড়ে সৃষ্টি হতো তীব্র যানজট। এবার সেই যানজট লাঘব হতে যাচ্ছে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা নতুন ফ্লাইওভারের কারণে।

মিরপুরের ইসিবি চত্বর থেকে কালশী মোড়, মিরপুর ডিওএইচএস এবং মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকাজুড়ে নির্মিত প্রায় দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে নিচে সড়কের সৌন্দর্যবর্ধন, বাস-বে, যাত্রী ছাউনিসহ শেষ মুহূর্তের কাজ। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে ফ্লাইওভারটি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি প্রকল্পটি অনুমোদন করে সরকার। নির্মাণের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। তবে ডিএনসিসি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগ নির্মিত এই প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে বলে জানান তারা।

এবার কালশী সড়কের যানজট লাঘব হতে যাচ্ছে উদ্বোধনের অপেক্ষায় নতুন ফ্লাইওভারের কারণে

ডিএনসিসি সূত্রে আরও জানা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই কিলোমিটার ফ্লাইওভার (১ দশমিক ৭ কিলোমিটার) নির্মাণের পাশাপাশি নিচের সড়ক, ফুটপাত ও ড্রেনের উন্নয়নকাজও করা হয়েছে। ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার সড়ক, ফুটপাত প্রশস্তকরণ, সড়ক বিভাজক তৈরি এবং ড্রেন নির্মাণ ও কমিউনিকেশন ডাক্টও তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে ১৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয় ডিএনসিসি থেকে।

কালশী ফ্লাইওভার প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পটির স্বত্বাধিকারী সংস্থা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। উদ্বোধনের পর থেকে প্রকল্পের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে ডিএনসিসি।

এ নিয়ে কালশীর স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, ফ্লাইওভারটি চালু হলে স্বস্তি আসবে। তাদের মতে, যানচলাচলে গতি আসাসহ এলাকার উন্নয়নে এই প্রকল্প সহায়ক।

কালশী ফ্লাইওভার প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল রাজ্জাক বলেন, ‘কালশী এত ব্যস্ত এলাকা ছিল না। রাস্তা হওয়ার পর এয়ারপোর্ট, বাড্ডা এই এলাকার মানুষের যাতায়াত বাড়ে, কিন্তু কালশীর মোড়টা সরু থাকায় সবসময় জ্যাম লেগেই থাকতো। বাসের উচ্চশব্দ, চলাফেরা সব দিক দিয়েই কষ্টকর ছিল। এই ফ্লাইওভার চালু হলে এসব সমস্যা দূর হবে।’

দেশের উন্নয়ন এখন এলাকার মধ্যেও দৃশ্যমান মন্তব্য করে স্থানীয় মিজানুর হক বলেন, ‘কালশী তো একসময় সাধারণ এলাকা ছিল। পরে রাস্তা বড় হওয়ায় এলাকাটা চোখে পড়ার মতো হইছে। এখন আবার ফ্লাইওভার হইছে। সরকারের উন্নয়ন এখন ঘরে বইসা দেখা যায়।’

/এনএআর/এমওএফ/
সম্পর্কিত
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
‘নীরব এলাকা’, তবু হর্নের শব্দে টেকা দায়
সমবায় সমিতির নামে কোটি টাকার দুর্নীতি: দুদকের অনুসন্ধান শুরু
সর্বশেষ খবর
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা