গতকাল বুধবার ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে সরকারি ছুটি। ছুটির তৃতীয় দিনে এসে আজ বৃহস্পতিবার ২০ এপ্রিল রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঘরমুখী মানুষের তেমন চাপ নেই। বাড়ি যাওয়ার জন্য ভোর থেকে বাসস্ট্যান্ডগুলোয় এসে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
একেকটি বাস আসার সঙ্গে সঙ্গে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা সেসব বাসে চেপে বসছে। যদিও সড়কের বিভিন্ন জায়গায় যানজটের কারণে কিছুটা সময় লাগছে বলছেন পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর মানুষের চাপ কম।
গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরমে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বাস টার্মিনালে যাত্রীদের বিশ্রামাগারের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার কারণে অনেকেই টার্মিনাল বিভিন্ন জায়গায় অপেক্ষা করছেন কাউন্টারগুলোর সামনে। নির্ধারিত সময়ে বাস না ছাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। প্রচণ্ড গরম সহ্য করেও শুধু বাড়ি যাওয়ার জন্য এসব কষ্ট সহ্য করছেন ঘরমুখী এসব মানুষ। এ ছাড়া গাড়ির চাপ বেশি থাকায় রাজধানী থেকে বের হওয়ার বিভিন্ন সড়কে ছিল গাড়ির চাপ।
অপেক্ষমাণ যাত্রী মামুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি, এখনও গাড়ি আসেনি। গরমে কী অবস্থা তা তো দেখতেই পাচ্ছেন। তারপরও পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। ঠিকমতো পৌঁছাতে পারবো এবং পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারবো, এটাই বড় কথা।
হাসিনা বানু বলেন, সাত মাস পরে বাড়ি যাচ্ছি। সবাইকে নিয়ে ঈদ করতে পারবো, এটা ভেবেই আনন্দ লাগছে। যাত্রী নেওয়ার জন্য বাস অপেক্ষা করছে আমরা অপেক্ষা করছি। বলল কিছুক্ষণের মধ্যে ছেড়ে দেবে। দেখা যাক সড়কে কী অবস্থা দাঁড়ায়। এ বছর মনে হচ্ছে সড়কে ভোগান্তি একটু কম হবে। তারপরও আল্লাহ ভরসা।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাসের জন্য দুই ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। এখনও আসেনি। কিছু করার নেই। একটু অপেক্ষা করতে হবে। ঢাকা থেকে বের হওয়ার রাস্তায় যানজট দেখতে পাচ্ছি। কিছু করার নেই। এভাবেই আমাদের হাসিখুশি থেকে বাড়ি যেতে হবে।
হানিফ পরিবহনের ম্যানেজার আশরাফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বৃহস্পতি ও শুক্রবারকে কেন্দ্র করে যে ধরনের যাত্রীর চাপ থাকে, ঈদকে কেন্দ্র করে সে ধরনের চাপ রয়েছে। তবে বিশেষ বা বাড়তি কোনও চাপ নেই।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ায় অনেকেই গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে না গিয়ে অন্যান্য বাস টার্মিনাল থেকে বাসে করে যাচ্ছে। যে কারণে বাসের এবং যাত্রীর চাপ কিছুটা কম রয়েছে। তবে গার্মেন্টস ছুটি হলে যাত্রী চাপ কিছুটা বাড়বে বলে জানান তিনি।