রাজধানীর রামপুরা বনশ্রীর একটি বাসায় প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়ার পর সাথী আক্তার (২৯) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় পর থেকে প্রেমিক আবু সাঈদ পলাতক আছেন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে রামপুরার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে সাথী আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠান।
এসআই হাবিবুর রহমান জানান, নিহতের গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। তার গলা, বাম হাতের কবজির নিচে, ডান উরুতে, পিঠে ও কোমরে কালচে দাগ দেখা গেছে। এছাড়া, বাম হাতের আঙুলে সেলাই করা ছিল।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সোমবার রাত ২টার পর প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে সাথী আক্তার গলায় ফাঁস দেন। পরে প্রেমিক আবু সাঈদ তাকে উদ্ধার করে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক সাথীকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর জানার পর আবু সাঈদ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
বাড়িটির দারোয়ান মমিন জানান, তারা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে চলতি মাসেই ওই ভবনের পঞ্চম তলায় ভাড়া ওঠেন। তাদের সঙ্গে ভাগিনা পরিচয়ে নাঈম (১৬) নামে আরও এক যুবক থাকতেন।
পুলিশ আরও জানায়, নিহত সাথী আক্তার নেত্রকোনা সদর উপজেলার চাকপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে বাবুর স্ত্রী। তিনি বিবাহিত এবং পেশায় মেকআপ শিল্পী ছিলেন। স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহের কারণে দুই সন্তানসহ আলাদা থাকতেন।
পুলিশ বলছে, প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে সাথী আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে— এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ ঘটনায় তাদের সঙ্গে থাকা নাঈমকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।